গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসকের কাছে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।
স্মারকলিপিতে বলা করা হয়, গাজীপুরে বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার আবাসিক এলাকায় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রায় তিন একর জমিতে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কলেজ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কলেজটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের তত্বাবধানে ও বোর্ডের নিয়মানুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও তাদের এমপিওভুক্ত সম্পন্ন হয়েছে। বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালে কলেজটিতে অল্প বেতন, সেশন ফি, ভর্তি ফি দিয়ে নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরাও লেখাপড়া করার সুযোগ পেত। কলেজটি রাজনীতি ও ধুমপানমুক্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান এবং একাধিকবার জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
কিন্তু ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের পরে বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা (বিওএফ)-এর কর্তৃপক্ষ বোর্ড বাদ দিয়ে কলেজটির নামকরণ করেন গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। এতে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এর প্রায় ২০ গজের মধ্যে একই কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর আগে গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে আরও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এতেও প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে এ দুইটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতন, সেশন চার্জ, ভর্তি ফি থাকায় নিন্মবিত্ত ও অনেক মধ্যবিত্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শিক্ষার্থীরা ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এলাকাবাসী তাদের সন্তানদের কম খরচে ভর্তি ও লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ক্যান্টনমেন্ট কলেজটিকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিয়মানুযায়ী পরিচালনার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ বছরের ২৮ জুন একটি ডিও লেটার দিয়েছেন।