শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে চালু হলো কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল। শুরুর দিন বিকেল পর্যন্ত একজন কোভিড-১৯ (পজেটিভ) রোগী ভর্তি হয়েছেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. খলিলুর রহমান জানান, এখানে করোনা ভাইরাস পজেটিভ রোগীদের চিকিৎসা সেবা হবে। করোনা রোগীদের জন্য ১০০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে চারটি ভেন্টিলেটর ছাড়াও ১০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের আবাসন ব্যবস্থা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরেই করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ডিউটির জন্য ৮ জন চিকিৎসক, ২০ জন নার্সসহ ৫০ জনের টিম গঠন করা হয়েছে। এভাবে দেড় মাসের জন্য কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিম সাত দিনের ডিউটি করার পর কোয়ারেন্টিনে যাবেন। পরে নতুন টিম ডিউটি করবেন। এখানেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে সময় যাতে তাদের এ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে না হয়।
হাসপাতালের উপপরিচালক তপন কান্তি সরকার জানান, এখানে ভর্তিকৃতদের ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য নমুনা পরীক্ষা করা হবে ঢাকা পাঠানো হবে। আর যাদের লক্ষণ প্রকাশ পায়নি, কিন্তু করোনা সংক্রমণ পজেটিভ। তারা এখানে ভর্তি না হয়ে বাসায় আইসোলেশনে থেকেও টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে এ হাসপাতালে কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের জন্য পরামর্শ নিতে পারবেন। এখানে শুধু কোভিড-১৯ রোগীদের সিমটোমিক চিকিৎসা দেয়া হবে। যেমন- শ্বাসকষ্ট, কাঁশি, জ্বর, ব্যথার মতো রোগের চিকিৎসা দেয়া হবে। শুরুর দিন বিকেল পর্যন্ত এক রোগী ভর্তি ছিলেন।
করোনা লক্ষণ নিয়ে আসা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা সিভিল সার্জনের তত্বাবধানে অন্যত্র হবে। এখানে আপাতত করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হবে না।
গত ১৬ এপ্রিল মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে ঢাকার তিনটি হাসপাতালের সঙ্গে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকেও কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।