গাজীপুরের সড়ক-মহাসড়কে ১৪টি চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। পুলিশের এ অভিযানকালে পন্যবাহী কাভার্ডভ্যান, পিক-আপ, ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সে রোগী সেজে সাধারণ যাত্রীদের চলাচল করার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) পুলিশ এ ধরনের কয়েকটি পণ্যবাহী গাড়ি জব্দ করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
মাওনা হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. মঞ্জুরুল হক জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে গাজীপুরে মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ অভিযান চলাকালে সোমবার দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভবানীপুর এলাকায় চেকপোস্টে একটি পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়। পরে তাতে তল্লাশির সময় দেখা গেছে ৬ মাসের এক শিশুসহ কয়েক নর-নারী কাভার্ডভ্যানের ভেতরে অবস্থান করছেন। তারা গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাওয়ার জন্য ময়মনসিংহ থেকে কাভার্ডভ্যানে উঠেন।
ভ্যানের যাত্রী সোহেল রানা জানান, তিনি গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। দুইদিন আগে চাচা মারা যাওয়ার পর তিনি ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। কারখানায় কাজে যোগ দেয়া এবং বেতনের জন্য গত রাতে ফোন করলে তিনি গাজীপুরের উদ্দেশে বের হন। কিন্তু কোনো গাড়ি না পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে দুইশ টাকা ভাড়ায় ওই কাভার্ডভ্যানে উঠি। একই এলাকায় যেতে সেখান থেকে শিশুসহ এক মহিলা এবং আরও ৫ জন যাত্রী কাভার্ডভ্যানটিতে উঠে পড়েন।
পরিদর্শক মো. মঞ্জুরুল হক জানান, পণ্যবাহী কভার্ডভ্যান, ট্রাক অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসকের গাড়ি ছাড়া মহাসড়কে কোনো যাত্রীবাহী যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না। এ সুযোগে কিছু অসাধু পরিবহণ চালক/শ্রমিক অনিষিদ্ধ যানবাহনে যাত্রী তুলে চলাচল করছে। তাই আমরা চেকপোস্টে ওইসব গাড়িও তল্লাশি করি। এ তল্লাশিকালে ওই ধরনের কিছু প্রতারণা ধরা পড়ে। পরে গাড়ি-চালকদের বিরুদ্ধ মামলা ও যাত্রীদের তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
একই কথা বলেন, গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার পীযূষ কুমার দে। সোমবার সকালে টঙ্গী এলাকায় পিক-আপে করে যাত্রী বহনের সময় তার চালককে আটক করা হয়েছে এবং যাত্রীদের নামিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।