দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সাময়িক বরখাস্তকৃত সহকারী অধ্যাপক রমজান আলীকে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চূড়ান্ত বহিষ্কারের দাবিতে মহিলা পরিষদের নেতৃত্বে দিনাজপুরের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে হাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের সভাপতি কানিজ রহমান, সাধারণ সম্পাদক মারুফা বেগম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি রেজাউর রহমান রেজু, সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক শিক্ষাবিদ শফিকুল ইসলাম, রবীন্দ সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি রবিউল আলম খোকা প্রমুখ। এছাড়া মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা পরিষদের সহসভাপতি মাহবুবার খাতুন রানী, মিনতি ঘোষ, লিগ্যাল এইড সম্পাদক জিন্নুরাইন পারু, সহসাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা শানু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবিনা আখতার।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত এক বছর আগে রমজান আলীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও ছাত্রীকে যৌন হয়রানির সত্যতা পায়। এরপর রমজান আলীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কারের সুপারিশ করে। কিন্তু গত এক বছরেও বর্তমান ভিসি রমজান আলীকে বহিষ্কার না করতে একের পর এক টালবাহানা করে যাচ্ছেন। এই এক বছরে তিনটি রিজেন্ট বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি রিজেন্ট বোর্ডে ভিসি পরিকল্পিতভাবে রমজান আলীকে বহিষ্কারের পূর্ণাঙ্গ দালিলিক তথ্য উপস্থাপন না করে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।
১২ জুন মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে শিক্ষক রমজান আলীর বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ডের সভায় প্রথমে অন্তর্ভুক্তির জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি, যাতে প্রমাণিত হয় রমজান আলীকে বাঁচানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রমজান আলীকে বহিষ্কার না করলে রমজান আলীসহ ভিসির বহিষ্কারের দাবিতে আমরণ অনশনসহ ইয়াসমিন আন্দোলনের মতো চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবেন দিনাজপুরবাসী। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।