গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণ দেখা যায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোনো প্রয়োগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় গোলচত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের বাউন্ডারির ভেতর নিরবিচ্ছিন্নভাবে গরু-ছাগলের চলাচল এবং সেখানে থাকা গাছপালা খাবার দৃশ্য দেখা যায়।
ক্যাম্পাসের চলাচলের রাস্তায় অডিটোরিয়ামের চারপাশে, মাঠে, ধানক্ষেতে, হলের আশপাশে, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমেটরিসহ সবখানে একই দৃশ্য দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গোবর পড়ে থাকে। ক্যাম্পাস আমাদের সেটি সুন্দর এবং পরিষ্কার রাখার দায়িত্বটা যেমন আমাদের তেমনি প্রশাসনের ও এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভর্তি পরীক্ষার আগে অনেক টাকা খরচ করে গাছপালা লাগানো হয়। কিন্তু এ সকল গবাদিপশুর অবাধ বিচরণের ফলে তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে উঠেছে।
নোবিপ্রবিতে কর্মরত কয়েকজন আনসার ও মালী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর ঘুরাঘুরি করা এ গরুগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান এর বাংলোর। তবে উপাচার্যের বাংলোর গরুর সংখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে কেউই এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোমিনুল বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট এন্ড হাউজিং শাখায় খোঁজ নিলে সেকশন অফিসার আব্দুল হামিদ বলেন, অবাধে ঘুরাঘুরি করা এ গরুগুলো বেশি ভাগই বাহিরে থেকে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংলগ্ন পকেট গেইট ব্যবহার করে এগুলো ভেতরে প্রবেশ করছে। স্টেট শাখার পক্ষ থেকে ওই গেটে একজন আনসার নিযুক্ত করার জন্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।