কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারসহ দেশের ৩০টি গ্রন্থাগার ডিজিটাল ও ই-গ্রন্থাগারে রূপান্তরের লক্ষ্যে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলর মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী ‘সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীনে ২৫টি এবং শিশু একাডেমি গ্রন্থাগার, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও পাঁচটি এনজিও সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাগারকে আধুনিকায়ন করা হবে।গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর বারবারা উইকহ্যাম স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এতে স্বাক্ষর করেন।
এসময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজসহ মন্ত্রণালয় ও দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন (বিএমজিএফ)-এর অর্থায়নে ‘লাইব্রেরিস আনলিমিটেড’ নামে প্রকল্পের এই আধুনিকায়নের কাজ করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে থাকছেন দিদারুল চৌধুরী।
এ প্রকল্পের আওতায় ১৮ মাসব্যাপী একটি পাইলট ফেজের জন্য ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা অর্থায়নে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারসহ দেশের ৩০টি গ্রন্থাগারকে আধুনিকায়ন তথা ডিজিটাল ও ই-গ্রন্থাগারতে রূপান্তর করা হবে।
পাইলট ফেজ এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ফেজ এর উন্নয়ন কার্যক্রম নির্ধারিত হবে। সেক্ষেত্রে বিএমজিএফ ২৪ কোটি – ২৮ কোটি টাকা প্রায় ব্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রকল্পের পাইলট ফেজ এ যেসব কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে সেগুলো হল- প্রচার, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিদেশে শিক্ষা সফর/প্রশিক্ষণ, প্রত্যাশিত লাইব্রেরির ডিজাইন করা এবং আধুনিক প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের সমন্বয়ে তা বাস্তবায়ন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং প্রকল্প মনিটরিং ও মূল্যায়ন করা।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকে একটি ‘তাৎপর্যবাহী ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “আমরা ই-গ্রন্থাগার যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।
এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন গণগ্রন্থাগাগুলোতে পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে পাঠকদের কাছে গ্রন্থাগারকে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।”
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, “একটি জ্ঞানদীপ্ত আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগারের বিকল্প নেই। গ্রন্থাগার আলোকিত মানুষ তৈরি করে। তরুণ প্রজন্মকে যদি আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলি তাহলে সে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।”