বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছেন এক শিক্ষক। তিনি নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আবদুল হালিম। ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে তাকে ধাওয়া দেন গ্রামবাসী। এরপর থেকে প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ছগির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নেছার উদ্দিন জানান, মাওলানা আবদুল হালিম প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন। লেখাপড়া না পারলে মেয়েদের শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন তিনি। গত ১৬ জুলাই বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। ওই দিন বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ান প্রধান শিক্ষক। এ সময় দুজন ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন তিনি। ওই দিনই ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকের বিষয়টি জানায়। এ ঘটনা বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকাবাসী জেনে প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হন।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ছগির হোসেন জানান, ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য প্রধান শিক্ষককে তিন দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়। পরে শনিবার প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে গ্রামবাসী ধাওয়া দেন। এতে প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম জানান, সহকারী শিক্ষক মো. নেছার উদ্দিন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তারপরও স্থানীয় বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করেছি।
পাথরঘাটা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মকর্তা নগেন্দ্রনাথ হাওলাদার জানান, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।