পাসের হার বাড়াতে গ্রেস নম্বরও দেয়া হয়নি, খাতাও উদারভাবে মূল্যায়ন হয়নি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বোর্ডের কারো হাত ছিল না। মেধাবী পরীক্ষার্থীরা কষ্ট করে লিখে যথাযথ ফল পেয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ ৬ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর সাথে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বিএনপি-জামাত আমল থেকে উদারভাবে খাতা মূল্যায়ন, গ্রেস নম্বর দেয়াসহ বিভিন্নভাবে পাসের হার বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। মূল্যায়নের জন্য খাতা দেয়ার স্বজনপ্রীতি, অস্বাভাবিক কম সময়ে খাতা দেখা, পরীক্ষা না দিয়েও পাস করানোর ইতিহাস রয়েছে বোর্ডগুলোর।
জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই সাধারণ গণিতে খুব খারাপ পরীক্ষা দেয়। তাছাড়া নতুন-পুরনো প্রশ্নে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। গণিতে পাসের হার কম বলে একাধিক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন। কিন্তু সব বোর্ডের সার্বিক পাসের হার গণিতের হিসেবের সাথে গড়মিল।
তালগোল পাকানোয় সারাদেশে অভিভাবকদের তীব্র সমালোচনার মুখে ‘ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হবে’ বলে ওই সময়ে ঘোষণা দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। খাতা আলাদা করে রাখা হয়েছে বলে উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জানানো হয়।
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে বেরিয়ে আসে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচ বছরের অস্বাভাবিক ভালো ফলের কাহিনী। মাইলস্টোন, কাদের মোল্লা কলেজ ও সামছুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভালো ফলের নেপথ্যে রয়েছে নানা অভিযোগ।
২০০৬ ও ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের তুলনায় ২০০৮ ও ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে অস্বাভাবিক ভালো ফলের তদন্ত করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পরামর্শক ও বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তা। এতে বেরিয়ে আসে ‘উদারভাবে’ খাতা দেয়ার নির্দেশনা, পাসের হার বাড়াতে গ্রেস নম্বর দিয়েও অস্বীকার করাসহ বিভিন্ন বিষয়।