সারাদিনের পর রাতেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন ব্যবহারে ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। এখনকার মানুষের কর্মব্যস্ত সময়ে ভালো ঘুমের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই স্বীকার করেন। এখন অনেকেই অফিসে দিনে ৮-৯ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে কাটান। এরপর সময় পেলেই আবার মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখেন। এভাবে ক্রমাগত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে ঘুমের মারাত্মক সমস্যা হয়। ভালো ঘুমের জন্য তাই স্মার্টফোন ব্যবহারের নিয়ম জেনে রাখা জরুরি। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন মাহবুব শরীফ।
ঘুমের ২ ঘণ্টা আগে : ভালো ঘুমের জন্য ঘরের তাপমাত্রার বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভরশীল। ঘর খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ভালোভাবে ঘুমাতে ঘরে এসি থাকলে স্বস্তিদায়ক তাপমাত্রায় ঠিক করে নিতে হবে। ঘুমানোর জন্য ঘরের আদর্শ তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘরের আশপাশে আলো ও শব্দ বন্ধ করে দিতে হবে। ঘরে বেশি আলো নিভিয়ে হালকা হলুদ আলো রাখা যেতে পারে।
ঘুমের ১ ঘণ্টা আগে : ঘরে ওয়্যারলেস স্পিকার থাকলে ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত করে তাতে প্রাকৃতিক শব্দ যেমন বৃষ্টি, বাতাস, বজ্রপাত প্রভৃতি ছেড়ে দিতে পারেন। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে ইউটিউব থেকে হালকা মেজাজের কিছু গান ছাড়তে পারেন। এর বাইরে কোনো ব্রডকাস্ট বা অডিও শুনতে পারেন।
ফোন বিছানা থেকে দূরে রাখুন : ঘুমানোর আগে আপনার ফোন সাইলেন্ট মুডে রাখতে পারেন। শোয়ারঘরে মোবাইল না রেখে পাশের ঘরে বা ড্রয়ারে তা রাখতে পারেন। ঘুমানোর আগে মোবাইল ঘাটলে চাপ বাড়ে এবং ঘুমাতে দেরি হয়। ঘুমানোর আগে অন্তত এক ঘণ্টা মোবাইল ছাড়া থাকলে আপনার ঘুমের যথেষ্ট উন্নতি হবে।
মোবাইলে অ্যালার্ম ঘড়ি বন্ধ রাখুন : ঘুমানোর পর সকালে জেগে ওঠার জন্য মোবাইলে অ্যালার্ম দেয়া বন্ধ করুন। মোবাইলের রিংটোন শুনে ওঠার পরিবর্তে উজ্জ্বল প্রাকৃতিক আলো দেখে জেগে ওঠার জন্য শরীরকে প্রশিক্ষণ দিন।