ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুমানা ইয়াসমিনকে শোকজ করা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীর কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে শোকজ নোটিস দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুমানা ইয়াসমিন অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদানে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করছেন উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভোকেশনাল শাখার পরিচালক, অধিদপ্তরের এমপিও শাখার সহকারী পরিচালক এবং কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর হোসেনপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। গত ৩১ মার্চ একই দিনে নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় মো: জাহাঙ্গীর আলম চূড়ান্তভাবে প্রথম নির্বাচিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ জন আবেদনকারী অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে মো: জাহাঙ্গীর আলম ১০০ নম্বরের মধ্যে লিখিত ৭৫, মৌখিক ১৩, একাডেমিক ১২, মোট নম্বরের ৬০ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নিয়োগ পরীক্ষার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিজির প্রতিনিধি ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখার সহকারী পরিচালক মো: জহুরুল ইসলাম, বোর্ডের প্রতিনিধি ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক প্রকৌশলী মো: আব্দুল কুদ্দুস সরকার, হোসেনপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সাইফুল ইসলাম মজুমদার ও হোসেনপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইয়াসমিন।
কিন্তু ফল ঘোষণার পরই রুমানা ইয়াসমিন উপজেলা পরিষদ মাঠে ডেকে মো: জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে বলেন, ঘুষ প্রদান না করলে কমিটির কেউ রেজুলেশনে স্বাক্ষর করবে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হোসেনপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুমানা ইয়াসমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার কাছে শোকজ নোটিস এসেছে। আমি শোকজ নোটিসের জবাব পাঠিয়েছি। আর ঘুষ চাওয়ার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। নিয়োগের ব্যাপারে সিন্ধান্ত কমিটি দেবে, আমার কাজ হলো পরীক্ষা আয়োজন করা। আমি তাই করেছি।’