ঘুষ না দেয়ায় মাদরাসা শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি |

বরগুনার তালতলীতে ঘুষের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় কচুপাত্রা নিজামিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে প্রতিষ্ঠাতা মো. নাজিম উদ্দিন ও তার ছেলে মাসুম হাওলাদারের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাসুম বিল্লাহকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে।

উপজেলার কচুপাত্রা নিজামিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ওই সময় থেকে তিনি মাদরাসায় ক্লাস নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি ওই মাদরাসা এমপিওভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দেন। মাদরাসা এমপিওভুক্তির খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসেন প্রতিষ্ঠাতা মো. নাজিম উদ্দিন হাওলাদার। গত ১৫ দিন ধরে নাজিম উদ্দিন শিক্ষক মাসুম বিল্লাহর কাছে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে আসছেন।

টাকা না দিলে মাদরাসা থেকে শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দিতে চাপ দেয় প্রতিষ্ঠাতা নাজিম উদ্দিন ও তার লোকজন এমন অভিযোগ শিক্ষক মাসুম বিল্লাহর। কিন্তু টাকা দিতে ও শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতিতে রাজি হননি মাসুম বিল্লাহ। এতে ক্ষিপ্ত হন প্রতিষ্ঠাতা ও তার লোকজন। মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিষ্ঠাতা ও তার ছেলে মাসুম কচুপাত্রা বাজারে এসে শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে জোর করে শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দিতে চাপ দেয়। ঘুষের টাকা ও অব্যাহতিপত্র না দেয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও তার ছেলে মাসুম হাওলাদার শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে মারধর করে।

শিক্ষক ও ইমাম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. নাজিম উদ্দিন হাওলাদার আমাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। ওই সময় থেকে আমি বিনা বেতনে মাদরাসায় ক্লাস করে আসছি। বর্তমানে মাদরাসা এমপিওভুক্তি হওয়ার খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠাতা আমার কাছে পাঁচ লখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে আমাকে শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি পত্র দিয়ে চলে যেতে চাপ দেন তিনি। আমি এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে প্রতিষ্ঠাতা ও তার ছেলে মাসুম মারধর করেছেন।

আমি এ ঘটনার বিচার চাই। তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055689811706543