ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এজন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে এই সুপার সাইক্লোন। এদিকে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে প্রায় ১২ লাখ এবং চট্টগ্রাম জেলায় ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ২০০ থেকে ২২০ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া চর ও নিন্মাঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোলার ঢালচর ৪ থেকে ৫ ও চর কুকরিমুকরি ৬ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে, পানি ঢুকেছে লোকালয়েও। এছাড়া, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে গড়ে ২০০ জন করে রাখা হয়েছে। সেখানে আবস্থানকারীদের জন্য খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে।
বরগুনায় নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় মাছের ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। তবে সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের নৌবাহিনী পক্ষ থেকে ২৫টি জাহাজ প্রস্তত রাখা হয়েছে উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তার জন্য। চিকিৎসার জন্য ১১৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, এখন পর্যন্ত পটুয়াখালীতে ৩ লাখ ৫৫ হাজার, ভোলায় ২ লাখ ৪১ হাজার, বরগুনায় ২ লাখ ১৭ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৪২ হাজার, পিরোজপুরের ৫০ হাজার, ঝালকাঠিতে ১০ হাজার, বরিশাল বিভাগের ৭ লাখ ৮১ হাজার, সাতক্ষীরায় ২ লাখ ১৩ হাজার, বাগেরহাটে ১ লাখ ২৯ হাজার ও খুলনায় সাড়ে ৭২ হাজারসহ খুলনা বিভাগে প্রায় ৪ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
অন্যদিকে, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা খালে নৌকায় করে ঘূর্ণিঝড়ের খবর প্রচার করার সময় নৌকা উল্টে গেলে তিনজনকে উদ্ধার করা হলেও ধানখালী ৬নং ওয়ার্ডের সিপিপি’র টিম লিডার শাহালম মীর নিখোঁজ হয়েছেন।