নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম চত্বরে অমর একুশে বইমেলায় এ পর্যন্ত এসেছে ৪০ প্রকাশনা সংস্থার পাঁচ শতাধিক নতুন বই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বইও রয়েছে অনেক। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত ছয় দিনে বই বিক্রি হয়েছে তিন কোটি টাকার বেশি!
এ প্রসঙ্গে আয়োজক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রকাশকদের পাঁচ শতাধিক নতুন বই মেলায় এসেছে। গত ছয় দিনে তিন কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে।’
কবি সাথী দাশ বলেন, ‘বইমেলায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার তিন ধরনের মানুষ আসে। একশ্রেণির মানুষ আসেন শুধু বই কিনতে। কেউ বই দেখেন, তবে ভালো লাগলে দুই-একটা কেনেন। অন্যরা আসেন সময় কাটাতে। সব মিলিয়ে এবার দর্শনার্থীর উপস্থিতি খারাপ নয়।’
প্রজ্ঞালোক, অক্ষরবৃত্ত, ঝিলমিল, শৈলী, আদিগন্ত, আবির প্রকাশনসহ চট্টগ্রামের বেশ কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অর্ধশত বই প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ‘ইতিহাসের খসড়া’ থেকে ‘চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সঙ্গীরা’ শীর্ষক বইটি পাঠক ও ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। শৈলী প্রকাশ করেছে ‘বঙ্গবন্ধু তুমি অজর অমর’, ‘কবিতায় ইতিহাস কবিতায় মুজিব’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ রাসেল’। রয়েছে আবির প্রকাশনের ‘শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু হওয়ার গল্প’। বলাকার তিনজন মুক্তিযোদ্ধার সম্পাদনায় শেখ মুজিবকে নিয়ে লেখা ‘জয় বাংলা’ ও ‘চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু’ বইয়ের প্রতি সাধারণ পাঠকের আগ্রহ রয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে নিবেদন করায় তরুণ প্রজন্মের কাছে এসব বইয়ের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।
বলাকা প্রকাশনার বিক্রয় প্রতিনিধি জসিম বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার বইমেলার পরিধি অনেক বড় এবং স্টল সংখ্যাও দ্বিগুণ। প্রথম দুই-তিনদিন বই কেনার চেয়ে মানুষ মেলা ও স্টল দেখেছে। ধীরে ধীরে পছন্দের বই কিনছেন তাঁরা।’
আদিগন্তের আরিফ রায়হান বলেন, ‘পাঠকরা দেখে শুনে বই কিনছেন। বই বিক্রি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয়োজনে এ বইমেলা চলবে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে। এতে ১৫৮ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০৫ স্টল আছে।