করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সোমবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৪তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সব ক্লাস বন্ধ থাকবে এবং পরীক্ষাগুলো সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। তবে চবি মেডিক্যাল সেন্টার ও করোনাভাইরাস গবেষণাকারীরা এ ছুটির আওতামুক্ত থাকবে।
এছাড়া বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুর ২টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভায়।
পরে দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা এবং কোচিং সেন্টারগুলোও ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ মানে পড়াশোনা বন্ধ নয়, বাইরে ঘোরাঘুরি নয়। তিনি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাড়ীতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৮ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস–পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। ৩৬ জন শিক্ষকের অভিমতের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেছিলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেবল স্থানীয় পর্যায়ে করোনা ছড়িয়ে পড়লেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাববে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (১৫ মার্চ) রাজধানীর ভাসানী স্টেডিয়ামে জাতীয় স্কুল হকি প্রতিযোগীতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যদি কখনো এমন অবস্থা দেখা যায় স্থানীয় পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে তখন আমরা প্রয়োজন বোধে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিবো। এখন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমরা স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবো। ”