চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি, প্রক্টরের পদত্যাগ ও ওসি বেলালের অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত চলছে অবরোধ। অবরোধের কারণে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শাহ্ আমানত হলের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে অবরোধকারীরা। এ সময় ‘আমার ভাই জেলে কেন প্রশাসন জবাব চাই’,‘জেলের তালা ভাঙব; আমার ভাইকে আনব’, ‘প্রশাসনের দালালেরা; হুঁশিয়ার-সাবধান’ স্লোগান দেয় আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকদের বাস ও শাটল ট্রেন বন্ধ থাকলেও ক্যাম্পাসে অন্যান্য যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতা এনামুল হক আরাফাত বলেন, অস্ত্র মামলায় আটককৃত কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
অপরদিকে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। আশা করি আর হবে না। গাড়ি চলাচল এখনও পর্যন্ত বন্ধ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে করলে ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখবে।
এর আগে, অস্ত্র মামলায় আটক ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের পদত্যাগ ও হাটহাজারী থানার ওসি বেলালের প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের ডাক দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকে তালা দেয় তারা। পাশাপাশি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে রেল চালককে অপহরণের অভিযোগও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ক্যাম্পাসে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল ছাত্রলীগ। দাবি আদায়ের না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে তারা।