এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে শাহজালাল হলের সামনে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
সংষর্ষে আহতরা হলেন ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষর্থী মেহেদী হাসান ও পালি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্লাটুন চাকমা। মেহেদী হাসান ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী ও প্লাটুন চাকমা সিএফসি গ্রুপের কর্মী হিসেবে পরিচিত। আহতদের চবি মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে আটককৃতরা হলেন সিএফসি গ্রুপের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শাকিল, পরিসংখ্যান বিভাগের ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাজন ও একই শিক্ষাবর্ষের সংস্কৃত বিভাগের পাপন খান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আসির উদ্দীন, আরবী বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শাকিল ও একই বর্ষের ত্রিপলী বিভাগের গোলাম নাফিউর রশিদ।
জানা যায়, সোমবার বিকাল ৪টার শাটল ট্রেনে সিএফসির এক কর্মীকে সিক্সটি নাইনের মেহেদী হাসান নামে এক কর্মী মারধর করে। এর জেরে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় আব্দুর বর হল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিএফসির অর্ধ শতাধিক কর্মী সোহরাওয়ার্দী হলের দিকে আসতে গেলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে। হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পরে পুলিশ ক্যামপাসে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।’