চবিতে শিক্ষক নিয়োগ: নতুন নিয়মে বঞ্চিত হবেন অনেক মেধাবী

চবি প্রতিনিধি |

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এতদিন শিক্ষকতার আবেদন করতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলে প্রতিটিতে আলাদা করে নূ্যনতম জিপিএ ৩ পয়েন্ট লাগত। এখন এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফল দুটির যোগফল করে তা ৯ পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন গ্রেডিং পদ্ধতির প্রথম দিকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষায় যে হারে জিপিএ ৫ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা, শুরুর দিকে সে হার ছিল নগণ্য। চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ না হওয়ায় তখন জিপিএ ৫ পাওয়া কঠিন ছিল তাই অনুষদটির অধিভুক্ত শিক্ষক নিয়োগে হঠাৎ করে এমন নীতিমালার পরিবর্তনে কপাল পুড়বে গ্রেডিং পদ্ধতির শুরুর দিকের অনেক শিক্ষার্থীর। 

এ ছাড়া নতুন নীতিমালায় অনুষদটির ছয় বিভাগের শিক্ষক হতে হলে সংশ্নিষ্ট বিষয়ে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রির প্রতিটিতে নূ্যনতম জিপিএ ৩ দশমিক ৭৫ থাকতে হবে। পাশাপাশি পুরনো পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শিক্ষাজীবনের যে কোনো তিনটি স্তরে প্রথম বিভাগ অথবা শ্রেণিসহ সংশ্নিষ্ট বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। যে স্তরে প্রথম বিভাগ অথবা শ্রেণি থাকবে না, সে স্তরে কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী বলেন, 'ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এক সভায় বিভাগ-সংশ্নিষ্টরা এ সিদ্ধান্ত নেন। তারা প্রত্যক্ষভাবে অনুষদটির বিভাগগুলোতে পাঠদানে জড়িত। তারা মনে করেছে, শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা বাড়ানো দরকার। তাই তাদের এ সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিন্ডিকেট সভায় তা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।' ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এ এফ এম আওরঙ্গজেব বলেন, সর্বসম্মতিক্রমেই এটি করা হয়েছে। পরে অনুষদ সভার এ সিদ্ধান্ত আলোচনা হয় একাডেমিক কাউন্সিলে, যা পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অনুমোদন দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী একজন বলেন, আমরা যখন এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তখন সারাদেশে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। তাই স্বাভাবিকভাবেই তখন রেজাল্ট এখনকার মতো ভালো হতো না। চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে শিক্ষক নিয়োগের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনের সুযোগ হারাবে গ্রেডিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর পাস করা প্রথমদিকের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি বিষয়টি বিবেচনা করে, তবে অনেক শিক্ষার্থী আবেদনের সুযোগ পাবেন বলে মনে করি।'


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003770112991333