সরকারি কলেজে নিয়োজিত বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগের তারিখ থেকে সরকারিকরণসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কলেজ বেসরকারি কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। রোববার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেনে শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতারা।
কর্মচারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নিয়োগের তারিখ হতে চাকরি সরকারি হওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারি স্কেলে বেতন ভাতা প্রদান, চাকরি সরকারি না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বন্ধ, নতুন পদ সৃষ্টি করে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া এবং পদোন্নতি দিয়ে শূন্য পদ পূরণ বন্ধ রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহ সভাপতি মো: মনির হোসেন,যুগ্ম সম্পাদক মো: আব্দুর রাজ্জাক,মো: সুমন উদ্দিন,মো: আলমগীর হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক আরজু মিয়া প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি সরকারিকরণের দাবিতে ৩০টির বেশি মামলা রয়েছে। সরকারিকৃত কলেজগুলোতে শিক্ষকদের পদ সৃষ্টি করা হলেও কর্মচারীদের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে না। পদ শূন্য হওয়ার পর সেগুলোও আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে রাজস্ব খাতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সম্ভব নয়। এ জন্য কলেজগুলোতে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ জনবল বেসরকারিভাবে কাজ করছে। একজন সরকারি কর্মচারী ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেতন ভাতা পেলেও একজন বেসরকারি কর্মচারী মাত্র ৪ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন। বিভিন্ন কলেজে ১৫ থেকে ২৫ বছর ধরে কর্মরত থাকার পরেও অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে সম্প্রতি ২৯৬টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে। এ কলেজগুলোর বেসরকারি কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার পরেও সরকার তাদের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।