আগামী ৩ বছরে (২০১৯-২০২২) আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা থেকে বাংলাদেশ মোট ৭৫ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা পাবে। এরমধ্যে প্রথম বৎসরের ২৫ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় ১২ ডিসেম্বর অনুমোদন হয়েছে। বিশ্বব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ঋণের মধ্যে এটি সবচেয়ে একক ঋণ। বাজেট সহায়তা হিসেবে এই অর্থ সরকার যে কোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে পারবে।
শিল্প খাতে কর্মসংস্থানের গতি ত্বরান্বিত ও বহুমুখী করার উদ্দেশ্যে শিল্প ও বাণিজ্য পরিবেশের আধুনিকায়ন, শ্রমিকের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকহারে কর্মে প্রবেশের উপযোগী নীতি-কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংক ‘কর্মসংস্থান কর্মসূচিভিত্তিক নীতি-কৌশল ঋণ সহায়তা’ অনুমোদন করেছে।
গত প্রায় ১০ বৎসরে বাংলাদেশে এটি বিশ্বব্যাংকের প্রথম নীতি-কৌশল ঋণ সহায়তা। সরকার কলকারখানা প্রতিষ্ঠা ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে পুরাতন আইন সংশোধন বা পরিবর্তন করে নুতন আইন, নীতি প্রণয়ন করেছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ আধুনিকায়ন, শ্রমিকের অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও সকল শ্রেণির মানুষের কর্মে অধিকতর প্রবেশে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত উপরোক্ত আইন, বিধি ও নীতি-কৌশল সংস্কারের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে তা বাস্তবায়নে এ ঋণ অনুমোদন বর্তমান সরকারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের অংশীদারীত্বমূলক সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে বলে সরকার মনে করে।