ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিতর্কিতদের বাদ দিতে চার দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত পদবঞ্চিতরা। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান গত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এবং পদবঞ্চিতদের মুখপাত্র রাকিব হোসেন।
দাবিগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ, ছাত্রলীগের কমিটির যে ১৯ জন বিতর্কিত নেতার পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে তাদের নাম ও পদের নাম প্রকাশ, কমিটিতে যারা বিতর্কিত রয়েছে সবার পদ শূন্য ঘোষণা, পদবঞ্চিতদের মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে শূন্য হওয়া পদগুলোতে পদায়ন এবং মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে হামলার সুষ্ঠু বিচার।
টানা ২৩ দিন অবস্থান কর্মসূচি সম্পর্কে জানানোর জন্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে রাকিব হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি প্রকাশ হওয়ার পরপরই পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ কর্মীরা প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ-মিছিল করেছিলেন। কিন্তু সেই মিছিলে হামলা চালানো হয়। হামলার প্রতিবাদে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে সেখানেও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করা হয়। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রহসনমূলক, হাস্যকর ও একপাক্ষিক তদন্ত কমিটি করেন। পরে টিএসসিতে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে আমাদের ওপর ফের হামলা হয়। এ সময় বিতর্কিতদের বাদ নিয়ে অপরাজনীতি করার অভিযোগও আনা হয় সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানানো হয়। পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচি- আমরণ অনশন কর্মসূচিতে পরিণত হবে বলে জানান পদবঞ্চিতরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-সম্পাদক আল মামুন, ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, ঢাবির কবি জসীম উদ্দীন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান প্রমুখ।