সুদানের সব স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সেনা কাউন্সিল। গত সোমবার উত্তর করদোফান রাজ্যে এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্নাইপার ও বন্দুকধারীদের গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়, যাদের মধ্যে চারজনই স্কুল শিক্ষার্থী। জ্বালানি ও রুটির জন্য ওই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এরপর থেকেই রাজধানী খার্তুমসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে তুমুল বিক্ষোভ করে স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেই বিক্ষোভ দমাতেই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সুদানের ক্ষমতাসীন সেনা কাউন্সিল। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গতকাল বুধবারও দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সাধারণ মানুষ। খবর বিবিসির।
হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার হাজার হাজার শিক্ষার্থী ইউনিফর্ম পরে এবং হাতে সুদানের পতাকা নিয়ে খার্তুমের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ দেখায়। খার্তুমের পাশাপাশি দেশটির অন্য শহরেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দিন শেষে সেনা কর্তৃপক্ষ সুদানের সব ধরনের স্কুল বন্ধের নির্দেশ জারি করে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, উত্তর করদোফান রাজ্যের এল-ওবেইদেতে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে স্কুলছাত্ররা। ঠিক সেই সময় বন্দুকের তীব্র গর্জনে তাদের স্লোগান চাপা পড়ে যায়। সুদানি চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন জানায়, এতে পাঁচজন নিহত ও ৬২ জন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা গুলির ঘটনায় আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে দায়ী করেছে। তবে ক্ষমতাসীন সেনা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, নিহত শিক্ষার্থীদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।