চিকেন বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল চন্দননগরের একটি স্কুলের ছাত্রী আবাসের ৪০জন পড়ুয়া। রবিবার রাতে অসুস্থদের চন্দননগর মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতেই ৩০জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাকিদের ছাড়া হয় সোমবার সকালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, গরমে খাবার হজম না হওয়াতেই এমন ঘটনা।
চন্দননগরের ওই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে এক শিক্ষিকার জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রী আবাসের সকলকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। ছয় থেকে বছর বারোর সব আবাসিক ছাত্রীর জন্য সন্ধ্যায় ছিল কেক-মিষ্টির আয়োজন। আর রাতের মেনুতে ছিল চিকেন বিরিয়ানি। সেটা রান্নার দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষিকা ও অন্য শিক্ষাকর্মীরা। রাত দশটার মধ্যে সকলে শুয়ে পড়েছিল। রাত ১১টা নাগাদ প্রথমে এক ছাত্রীর বমি হয়। কয়েকজন ছাত্রী বলতে শুরু করে তাদেরও শরীর খারাপ লাগছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যান। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘গরমে অতিরিক্ত তেলজাতীয় খাবার খেয়েছিল সকলে। আর তা হজম না হওয়াতেই এমন অসুস্থতা। গরমে সুস্থ থাকতে হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সকলকে।’’
স্কুলের তরফে টিচার ইন চার্জ শম্পা পাল চৌধুরী জানান, ‘‘পড়ার ফাঁকে আনন্দের জন্যই ওদের কথামতো চিকেন বিরিয়ানি রান্না করেছিলেন এক শিক্ষিকা। তবে এই গরমে শরীরের কথা ভেবে একটু হালকা খাবারের আয়োজন করলে হয়তো ভাল হত।’’
ভাগাড় কাণ্ডের জেরে সপ্তাহ খানেক ধরে পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের রেস্তরাঁয় অভিযান চালানো হচ্ছে। অনেক রেস্তরাঁ থেকে বাসি মাংস, অন্য খাবারও মিলছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে অনেক রেস্তরাঁ। ওই বিরিয়ানিতে কোনও সমস্যা ছিল কি না যাচাই করতে সোমবার দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে চারজনের এক প্রতিনিধিদল স্কুল পরিদর্শনে যান। অসুস্থ হওয়া ছাত্রীদের সাথে কথা বলেন। মেয়র রাম চক্রবর্তীও এ দিন অসুস্থ ছাত্রীদের সাথে কথা বলেন। তাদের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।