চীনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে চান, তাদের ফিরিয়ে আনতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরই এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানান।
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস : ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, জনসচেতনতা বাড়ানো তাগিদ
শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক পেজে এ নিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন, বাংলাদেশের নাগরিক যারা চীন থেকে ফিরতে চাইবেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চীন সরকারের সঙ্গে শুরু করেছে। কী প্রক্রিয়ায় এটি করা হবে, তা স্থানীয় প্রশাসনের সম্মতির ভিত্তিতে করা হবে বলেও জানিয়েছেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমাদের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই বিষয়ে আজকের দিনের শেষে একটি প্রাথমিক নির্দেশনা জারি করা হবে, যার মূল উদ্দেশ্য থাকবে আগ্রহীদের তালিকা প্রণয়ন।’
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয়, প্রতিরোধে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহর। সেখানে ৪ শতাধিক বাংলাদেশি আছেন। তাদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়েছেন পড়েছেন। দেশে ফেরার আকুতিও জানিয়েছেন কেউ কেউ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে চীনে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে দেশটির ৮০ জন মারা গেছে। এ ছাড়া দেশটিতে এই ভাইরাসে প্রায় ৩ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বিদেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আগের থেকে আরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। এই ভাইরাসের বিস্তার আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: সাময়িকভাবে বন্ধ হতে পারে চীন ভ্রমণ
চীনের বাইরে ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ভিয়েতনামে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত করা গেছে। চীনের বাইরে সারা বিশ্বে ২ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বলছে, এই ভাইরাস সম্পর্কে এখনো বেশি কিছু জানা যায়নি। এর ইনকিউবেশন পর্যায় ১ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত হতে পারে। এই সময় ভাইরাসটির সংক্রমণ হয়ে থাকে। কিন্তু সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এমনটা নয়।