যশোরের চৌগাছায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬৭টি স্কুল ও মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এবং একটি প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৪৪টি স্কুল থেকে মোট ২ হাজার ৯৫১ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২ হাজার ৫১০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৯ জন। মাকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৪ জন অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। এসএসসিতে উপজেলায় মোট পাসের হার ৮৫ দশমিক ০৫ শতাংশ।
এদিকে, উপজেলায় ২১টি মাদ্রাসা থেকে ৫৮৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৪৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে সিংহঝুলী দাখিল মাদরাসা থেকে ২৪ জন অংশ নিয় সবাই কৃতকার্য হয়েছে। মাকাপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। উপজেলায় মোট পাসের হার ৭৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।
শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানরা দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকের সাথে সমন্বয় করে পাঠদান করায় তারা শতভাগ সফলতা পেয়েছেন।
শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সুপার তরিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘মাদরাসাটি ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।আমি ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করছি। বিগত দশ বছরের গড় পাসের হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি। এ বছরে ২২ জন পরীক্ষার্থীর একজনও পাস করবে না বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। আমার বিশ্বাস প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটির কারণে এমন বিপর্যয় হয়েছে। ফলাফল পুনঃবিবেচনার জন্য বাংলাদেশ মাদরাসা বোর্ডে আবেদন করব।’
তিনি আরও জানান, ‘মাদরাসাটিতে প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী ও ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে কাম্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী না থাকায় এমপিওর জন্য আবেদন করতে পারিনি। এবছর কাম্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী ছিল। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল মেনে নিতে পারছি না।’
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমান উদ্দীন দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘মাদরাসায় সাধারণত দুর্বল ছেলে মেয়েদের পড়তে দেয়া হয়। তার পরেও এখানকার শিক্ষকরা চেষ্টা করেন। যে কারণে বিগত বছরগুলোতে ভালো ফলফলা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর কেন এমন হয়েছে বলতে পারছি না।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম রফিকুজ্জামান দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘যেহেতু এই মাদরাসার পূর্বের একদশকের ফলাফল খুবই ভালো। প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটি হয়েছে কি না প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বাংলাদেশ মাদরাসা বোর্ডে যোগাযোগ করতে বলা হয়ছে।’