ছাত্র হত্যার দায়ে শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার রোববার (১১ নভেম্বর) আসামি সবুজ চন্দ্র সূত্রধরের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। ঢাকার কাফরুলে পাঁচ বছর আগে অষ্টম শ্রেণির সজল চন্দ্র মজুমদারকে হত্যা করেন আসামি সবুজ। 

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর এরকম  ঘটনা সভ্য সমাজে মোটেও গ্রহণযোগ্য ও সহনীয় নয়। এ ধরনের অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দিতে অপরাধীকে কোনোভাবেই অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের ছেলে সবুজ ঢাকার ইব্রাহীমপুরের ঈদগাহ রোডে থাকতেন। উত্তর কাফরুলে ফ্যান্টাসি কোচিং সেন্টারে পড়াতেন তিনি। সেখানে তার ছাত্র ছিল নিহত সজল চন্দ্র মজুমদার।

সজল উত্তর কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা শ্যামল চন্দ্র মজুমদার দুটি সেলুন চালাতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। 

মামলার বিবরণে বলা হয়, বাবা-মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকার দরকার ছিল সবুজের। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ২৮ অাগস্ট সজলকে কচুক্ষেত বউবাজারে তাদের বাসার সামনে থেকে ভুলিয়ে নিয়ে গিয়ে যান তিনি। পরে তাকে আটকে রেখে সজলের পরিবারকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সজলকে খুন করা হবে বলেও তিনি হুমকি দেন।

এ ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে সজলের পরিবার। সজলের লাশ পাওয়া গেলে তা হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে টাকার জন্য সজলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন সবুজ।

মামলার বিচারকালে ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক রোববার রায় ঘোষণা করেন বলে ট্রাইবুনালের পেশকার আবুল কালাম আজাদ জানান।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027091503143311