কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম এক মাদরাসা শিক্ষককে ‘উত্তম-মাধ্যম’ দিয়ে মাথার চুল আংশিক ছেঁটে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গত বুধবার উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফার পশ্চিম কালুডাঙ্গা হাফিজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে আবাসিক মাদরাসার ওই শিশু শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে জোড়পূর্বক খারাপ কাজ করে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। শিশুটি কান্নাকাটি করলে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হয়। এমনকি কাউকে বিষয়টি জানালে জিনের সাহায্যে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। ঘটনার পরদিন বুধবার (২৭ নভেম্বর) শিশুটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি খুলে বলে।
স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তোভোগী শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ প্রতিবেশীরা মাদরাসায় গিয়ে শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে চাপ দিলে সবকিছু স্বীকার করে সে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে। পরে তার মাথার চুল ছেটে ন্যাড়া করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, এ ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাদি হয়ে উলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একাধিক শিশুর সাথে ওই শিক্ষক এরমন অশালীন আচরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, থানায় মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।