ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে হঠাৎ করেই আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় স্তম্ভিত পুরো বিএনপি। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে জরুরি বৈঠকে বসছেন দলটির নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ও ছাত্রদলের কাউন্সিল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেবেন। দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে খবর বের হয় যে, ছাত্রদলের কাউন্সিলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ দেয়া হয় বিএনপির নয় জন নেতাকে। বৃহস্পতিবার ঢাকার ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র চতুর্থ সহকারী জেলা জজ ফারজানা আক্তার এ আদেশ দেন। পরে রাতেই বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ‘ছাত্রদলের সহ ধর্মবিষয়ক সাবেক সম্পাদক আমান উল্লাহর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিল স্থগিতাদেশ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এর পছনে সরকারের মাস্টারপ্ল্যান আছে।’
উল্লেখ্য, প্রায় ২৮ বছর পর ছাত্রদলের কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল আগামীকাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)।
মামলার বাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে জোর করে এই মামলা করতে বলা হয়েছে। আমরা তার কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। যেভাবে রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়, আমরা মনে করি, আমানকে দিয়ে তা-ই করানো হয়েছে। বিবেকবান সব মানুষই বোঝেন, এর পেছনে সরাসরি সরকারের হাত রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি আইনিভাবে ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।’
বিএনপির রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ছাত্রদলের কাউন্সিলে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় নেতাকর্মীরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশেষ আগ্রহেই সরাসরি ভোটে কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। সেই চিন্তা থমকে গেলো বলে মনে করছেন বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা।
দলের সূত্র বলছে, বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে ও আইনিভাবেই মোকাবিলা করা হবে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিল করা হবে কিনা, এ নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হবে।
চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সূত্র জানায়, সিনিয়র নেতাদের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করবেন মির্জা ফখরুল। দলের পরবর্তী সিদ্ধান্ত তিনি জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।