জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শীর্ষ দুই পদে ৭৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ৪৫ জন। যার মধ্যে সভাপতি পদে ১৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ জন। গতকাল যাচাই-বাছাই কমিটি এই তালিকা প্রকাশ করেছে। বাছাই কমিটির প্রধান ফজলুল হক মিলন বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আমরা ৪৫ জন প্রার্থীকে বৈধ প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছি।
সভাপতি পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মো. মামুন খান, আশরাফুল আলম ফকির, মো. ফজলুর রহমান খোকন, মো. আবদুল মাজেদ, মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, হাফিজুর রহমান, রিয়াদ মোহাম্মদ তানভীর রেজা রুবেল, মোহাম্মদ এরশাদ খান, মো. সুরুজ মন্ডল, মোহাম্মদ শামীম হোসেন, সুলাইমান হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, এস এম সাজিদ হাসান বাবু ও এবিএম মাহমুদ আলম সরদার।
সাধারণ সম্পাদক পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির, মোহাম্মদ করিমুল হাই (নাঈম), মাজেদুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন খান, ডালিয়া রহমান, মো. মিজানুর রহমান সজীব, নাজমুল হক হাবিব, ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, মো. আমিনুর রহমান আমিন, শেখ আবু তাহের, শাহ নেওয়াজ, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন রাজু, মুন্সি আনিসুর রহমান, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন শ্যামল, মোহাম্মদ জুয়েল হাওলাদার (সাইফ মাহমুদ জুয়েল), মোহাম্মদ হাসান (তাঞ্জিল হাসান), মো. মিজানুর রহমান শরীফ, মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল খান, মোহাম্মদ আরিফুল হক, রিয়াদ মো. ইকবাল হোসাইন, মোহাম্মদ আজিজুল হক সোহেল, মো. মশিউর রহমান রনি, আবদুল মোমেন মিয়া, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মো. আবুল বাশার, মো. আসাদুজ্জামান রিঙ্কু, সোহেল রানা, কাজী মাজহারুল ইসলাম ও এ এ এম ইয়াহ ইয়া।
এর আগে গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ১০৮ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। পরে নির্বাচনে অংশ নিতে ৭৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ২৭ জন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৮ জন ছিলেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৩১ আগস্ট। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত।
১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে অংশ নেবেন সংগঠনটির সারাদেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর।
ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সংগঠনের সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি এবং শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করা হয়।