ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হলেও শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে হয়নি

মুহম্মদ জাফর ইকবাল |

আবরারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি আমাদের সবাইকে একটা বিশাল ধাক্কা দিয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক রাগ দুঃখ হতাশা এবং ক্ষোভের পর্যায়টুকু শেষ হয়ে যাবার পর আমরা এখন তার পরের পর্যায়টুকু দেখতে পাচ্ছি, যেখানে এই অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনাটি নিয়ে দেশে-বিদেশে অল্পবিস্তর রাজনীতি করা শুরু হয়েছে। সরকারও তাদের মুখরক্ষার কাজ শুরু করেছে, যদিও তাদের জন্য কাজটি খুব সহজ নয়। আমরা সবাই জানি, আবরারকে নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিল। কিন্তু যেহেতু তাকে নির্যাতন করছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাই তারা দরকার হলে শক্তিপ্রয়োগ করে হলেও তাকে উদ্ধার করার সাহস পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমবয়সি কয়েকজন তরুণ ছাত্রের সামনে রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী শক্তিহীন, ক্ষমতাহীন, অসহায়, দুর্বল কিছু মানুষ তাদের চোখের সামনে অচিন্তনীয় নৃশংসতায় একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে যেতে পারে, কিন্তু তারা কিছু করতে পারে না—এটি মেনে নেওয়া খুব কঠিন। বলা যেতে পারে ছাত্ররাজনীতির সবচেয়ে ভয়াবহ রূপটি এবার আমরা দেখতে পেয়েছি।

খুব স্বাভাবিক কারণে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সারা দেশে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, আমাদের দেশে এখন আসলেই ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজনীয়তা আছে কি না সেটা নিয়ে সবাই কথা বলছেন। ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্ররাজনীতি তুলে দেওয়া হয়েছে’—এই ঘোষণা দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে কি না সেটা নিয়ে তর্কবিতর্ক হচ্ছে। তবে আমি একটুখানি অবাক হয়ে লক্ষ করছি, ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হলেও শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে সেরকম আলোচনা হয়নি, যদিও সেটা কম জরুরি বিষয় নয়।

অনেকদিন পর আমি নিজেও আবার ছাত্ররাজনীতি নিয়ে ভাবছি, নিজের কাছেই নিজে প্রশ্ন করছি সত্যিই কী ব্যাপারটা এত সহজ? তবে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্রিয়ার মাঝে থাকার কারণে ছাত্ররাজনীতির নানা ধরনের ঘটনা দেখেছি, সেরকম কয়েকটি ঘটনার কথা বলি; তাহলে ছাত্ররাজনীতি কীভাবে কাজ করে হয়তো তার ধারণা পাওয়া যাবে।

ঘটনা : তখন বিএনপি-জামায়াত আমল, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। আমি ভর্তি কমিটির সভাপতি। সব ছাত্রছাত্রী পরীক্ষার হলে ঢুকেছে বাইরের সব মানুষকে বের করে বিল্ডিংগুলোর মূল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হলের বাইরে জনমানুষ নেই। ভেতরে মাত্র পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে আমি অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম, একটি ছাত্র তার পিঠে একটি ব্যাগ নিয়ে গদাইলশকরি চালে হলরুমের বারান্দা দিয়ে হাঁটছে। সে ছাত্রশিবিরের একজন নেতা। তার হাঁটার ভঙ্গিতে একটা মেসেজ: ‘এই দেখ, পরীক্ষার হলে কারো ঢোকার কথা নয়, কিন্তু আমি শিবিরের নেতা, আমি ঢুকেছি এবং বুক ফুলিয়ে হাঁটছি। কারো সাধ্যি নেই আমাকে কিছু বলে।’ আমি হুংকার দিয়ে বললাম, ‘এই ছেলে তুমি এখানে কীভাবে ঢুকলে? বের হও। এক্ষুনি বের হও।’ আমি দারোয়ানকে ডেকে তাকে বের করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যে অসংখ্য ছাত্রশিবিরের কর্মী এসে আমাকে ঘিরে ফেলল, চিৎকার করতে লাগল আমি নাকি তাদের সভাপতিকে অপমান করেছি!

ঘটনার বিশ্লেষণ : এটি হচ্ছে ছাত্ররাজনীতি করার একটা অতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন। শুধু অন্য ছাত্রদের সামনে নয় শিক্ষক কিংবা প্রশাসনের সামনেও।

ঘটনা : কিছুদিন আগের একটি ঘটনা। ডিপার্টমেন্টের একটি উৎসব। একজন প্রতিমন্ত্রীও আমার সঙ্গে মঞ্চে বসে আছেন। অনুষ্ঠান চলছে, তখন হঠাৎ করে স্লোগান শুনতে পেলাম। তাকিয়ে দেখি অডিটোরিয়ামের পেছন থেকে সারি বেঁধে দশ-বারো জন ছাত্র আসছে। সবার সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি। এই সভাপতিকেই অভিনন্দন জানিয়ে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। দৃশ্যটি যথেষ্ট হাস্যকর । দলটি এসে শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত স্থানগুলোতে গ্যাট হয়ে বসে গেল। তখন আবার অনুষ্ঠান শুরু হয়। বলাই বাহুল্য, ঘটনটি যথেষ্ট দৃষ্টিকটু এবং আমি খুবই বিরক্ত হলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের ছাত্রনেতা থাকে। সাধারণত আমি তাদের চিনি না। কিন্তু ঘটনাক্রমে এই সভাপতি আমার পরিচিত। কাজেই বক্তব্য দেওয়ার সময় আমি তার নাম ধরে তাকে সবার সামনে এই ঔদ্ধত্যের জন্য বিতৃষ্ণাটুকু প্রকাশ করে তাকে সেটা জানিয়ে দিলাম। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আমার থেকেও আরো অনেক কঠিন ভাষায় এই ছাত্রনেতাকে সতর্ক করে দিলেন।

ঘটনার বিশ্লেষণ : এটি ঠিক আগের ঘটনার মতোই। ছাত্রনেতারা বিশ্বাস করে, যে কোনো অনুষ্ঠানের মাঝখানে স্লোগান দিতে দিতে ঢুকে যাওয়ার তাদের অধিকার আছে।

ঘটনা : তখন জামায়াত-বিএনপির আমল। পয়লা বৈশাখের দিন ছাত্র-শিক্ষক মিলে একটা আনন্দ র‌্যালি করবে। তখন কয়েকজন ছাত্র আমাদের জানিয়ে দিল ছাত্রদলের একজন নেতার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ধর্ষিতা হয়েছে। এই র‌্যালিটির মাধ্যমে তারা বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে বিচার দাবি করার কাজটি শুরু করতে চায়। ছাত্রদলের নেতারা আশপাশেই আছে, কাজেই আমরাও যদি থাকি তারা হয়তো একটু নিরাপদ থাকবে। কাজেই আমরা র‌্যালিতে থাকলাম এবং একটি আনন্দ র‌্যালি দেখতে দেখতে একটি বিক্ষোভ র‌্যালিতে পালটে গেল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রছাত্রী বিশাল একটি প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলল। ভাইস চ্যান্সেলরের অফিস ঘেরাও করে ধর্ষকদের বিচার করার দাবি করল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল উত্তেজনা। অসংখ্য ছেলেমেয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের অফিস ঘেরাও করে বিচার দাবি করছে, দূরে ছাত্রদল ও শিবিরের ছাত্ররা, কাছাকাছি একটা পুলিশের গাড়ি। হঠাৎ করে পুলিশের গাড়িটি ধীরে ধীরে সরে গেল এবং কিছুক্ষণের মাঝে ছাত্রদল ও শিবিরের দলটি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আক্রমণ করল।

ঘটনার বিশ্লেষণ : আমার বিবেচনায় এই ঘটনাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন ছাত্রনেতার হাতে ধর্ষিত হওয়ার পর সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা খুব দক্ষতার সঙ্গে একটি আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। কাজেই যারা দাবি করে নেতা গড়ে তোলার জন্য ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন, তাদেরকে আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটা ব্যবহার করার জন্য রাজনৈতিক দলের সদস্য হতেই হবে, সেটি সত্য নয়।

এই ঘটনার সময় আরো কয়েকটি বিষয় ঘটেছিল। ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা যেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নেতাকর্মীদের আক্রমণ করতে পারে, সেজন্য পুলিশ বাহিনী তাদেরকে সাহায্য করেছিল। এটি আমাদের দেশের খুবই বেদনাদায়ক একটি ঘটনা। এই দেশের পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তারা শুধু সরকারের নয়, সরকারি দলের আজ্ঞাবহ অনুচর।

আন্দোলনটি গড়ে তোলার সময় কোনো একটি সভায় আমিও বক্তব্য দিয়েছিলাম। তার একটি ছবি দেখিয়ে একজন ছাত্র আমাকে বলেছিল, ‘স্যার, আপনার ঠিক পেছনে যে ছাত্রটি দাঁড়িয়ে আছে সে হচ্ছে ধর্ষকদের একজন সহযোগী।’

দুঃখের কথা হচ্ছে, ধর্ষককে শেষ পর্যন্ত কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। তবে যে বিষয়টি আমি কখনোই বুঝতে পারিনি সেটা হচ্ছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন রাষ্ট্রের আইন কাজ করবে না? একটি ছাত্র পরীক্ষায় নকল করলে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে শাস্তি দিতে পারে কিন্তু সে ধর্ষণ করলে কেন পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবে না?

ঘটনা : অনেক আগের ঘটনা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন ফাইনাল পরীক্ষার একটা তারিখ ছিল। ছাত্রনেতাদের লেখাপড়া নিয়ে বিশেষ আগ্রহ নেই, যত দীর্ঘ সময় তারা ছাত্র হিসেবে থাকতে পারবে ততই লাভ। তাই পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে তারা আগ্রহী। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এই নিয়ে ত্যক্তবিরক্ত। একবার যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা পেছানোর পাঁয়তারা চলছে তখন হঠাৎ করে হলের মেয়েরা সিদ্ধান্ত নিল, যেভাবে হোক তারা পরীক্ষা দেবে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশাল উত্তেজনা। ভোরবেলা ছাত্রীরা দেশাত্মবোধক গান গাইতে গাইতে দল বেঁধে পরীক্ষা দিতে বের হয়ে এসেছে এবং ছাত্রনেতারা তাদের রাস্তা আটকে রেখে স্লোগান দিচ্ছে, ককটেল ফাটাচ্ছে! আমরা কয়েকজন শিক্ষক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছি বাড়াবাড়ি কিছু না ঘটে যায়, সেটি দেখার জন্য। চার-চারটি ঘণ্টা এভাবে কেটে গেল। তখন ভাইস চ্যান্সেলর ছাত্রীদের অনুরোধ করলেন তাদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য। কথা দিলেন তিনি ব্যাপারটি দেখবেন।

ঘটনার বিশ্লেষণ : ছাত্ররাজনীতির বিভিন্ন দলের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক, এক দল পারলে আরেক দলকে খুন করে ফেলে কিন্তু লেখাপড়া না করার মধ্যে কিংবা পরীক্ষা পেছানের মধ্যে তাদের ভেতরে কোনো বিরোধ নেই, তখন সবাই একসঙ্গে।

ঘটনা : তখন জামায়াত-বিএনপি আমল। বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরনের শ্বাসবন্ধ করা অবস্থা। হঠাত্ মোটামুটি একধরনের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রক্টর ঘোষণা দিলেন, তারা কেউ তাদের পদ ছাড়ছেন না কিন্তু কাজ করা বন্ধ রাখবেন। প্রক্টরহীন বিশ্ববিদ্যালয় খুবই বিপজ্জনক জায়গা। ঠিক তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে পাশের রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের কোনো একটা বিষয় নিয়ে গোলমাল লেগে গেল। দুই দলের ভেতর মারামারি, টিল-ছোড়াছুড়ি হচ্ছে, যেহেতু কোনো প্রক্টর নেই তাদের থামানোর কেউ নেই। তখন পুলিশ এসে গুলি করল, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন গুরুতর আহত হলো। আমাদের একজন ছাত্র মারা গেছে। মুহূর্তের মাঝে সারা বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে ফেটে পড়ল। তাদের সমস্ত ক্ষোভে ভাইস চ্যান্সেলর তার পদত্যাগপত্র লিখে দিলেন। একজন ভাইস চ্যান্সেলরের জন্য সেটি যথেষ্ট অসম্মানজনক বিদায়।

২.

আমি যখন এই লেখাটি লিখছি তখন আমার ঘনিষ্ঠ একজন আমাকে জিগ্যেস করল, তোমার পঁচিশ বৎসরের শিক্ষকতা জীবনে ছাত্ররাজনীতির কারনে ভালো কিছু হয়েছে, সেরকম কিছু কী দেখেছ?

আমার তখন গণজাগরণ মঞ্চের কথা মনে পড়ল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা তরুদের সেই অবিশ্বাস্য আন্দোলনের সময় কিন্তু ছাত্রদের প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী সরকারি রাজনৈতিক দল সাহায্য করেছিল। শুধু তা-ই নয়, মে মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যাবেলা আমি শাহবাগে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে আক্রমণ করেছিল। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছিল।

কাজেই আমরা কি জোর দিয়ে বলতে পারি, এই দেশে ছাত্ররাজনীতির আর কোনো দরকার নেই, ভবিষ্যতেও কখনো দরকার হবে না?

মুহম্মদ জাফর ইকবাল : শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045161247253418