চট্টগ্রামের সরকারি কলেজগুলোর যেগুলোতে ছাত্রাবাস আছে, সে সব জায়গায় ছাত্রসংগঠনগুলো তুলনাহীন আধিপত্য বিস্তার করে আছে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের আবাসনসংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের সমস্যার শেষ নেই। বাধ্য হয়ে নগরীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু ছাত্রাবাসে থাকতে হচ্ছে তাদের।
গত পাঁচ বছর ধরে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজের সাতটি ছাত্রাবাস বন্ধ। এছাড়া ছাত্রসংগঠন দুটির বিরোধের কারণে চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজের ছাত্রাবাসও গত ২০-২৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ছাত্রাবাসগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ছেলে ও মেয়েদের পাঁচটি হোস্টেল গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ। এসব হোস্টেলে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এই কলেজে প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৭টি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স চালু রয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ মুজিবুল হক বলেন, এখন হোস্টেল খোলা নিয়ে তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না। তবে কয়েক দিন আগে বন্ধ হোস্টেল পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন জরাজীর্ণ অবস্থা। এগুলো এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দরজা, জানালা ভেঙে গেছে। দেওয়াল ও ছাদ ধসে পড়ছে। অবস্থা এমন একটি হোস্টেল ১ কোটি টাকা খরচ করেও ব্যবহার উপযোগী করা যাবে না। আরও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নতুন একটি হোস্টেল নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কয়েক মাস পর এটি চালু করা হবে।
সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজের দুটি ছাত্রাবাসও গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে একটি ছাত্রাবাস ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। ১৪টি বিষয়ে অনার্স ও ১২টি বিষয়ে মাস্টার্স রয়েছে মুহসিন কলেজে।
হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজের শিক্ষক প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দুটি হোস্টেল বন্ধ রয়েছে। এগুলো অন্য কোনো কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজের ছাত্রাবাসটি ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর বন্ধ করে দেয়া হয়।