বাবার সাথে চাকরি করার সুবাদেই বাসায় আসা-যাওয়া ছিল মো. শাহীন (৩২) নামে ওই যুবকের। সেই সূত্রেই পরিচয়। আর সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই শাহীন বলে সে অবিবাহিত এবং ভিকটিমের সাথে গড়ে তুলতে চায় প্রেমের সম্পর্ক। পরবর্তী সময়ে যখন ভিকটিম জানতে পারে যে শাহীন বিবাহিত তখন তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে এবং তার পথ থেকে সরে দাঁড়াতে বলে। ভিকটিমের পরিবার তার বিয়ে ঠিক করলে শাহীন তার বিয়ের কথাটি মানতে পারেনি।
এরপর শাহীনকে ভিকটিমের পরিবার অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। গত ২ আগস্ট জামা-কাপড় কেনার জন্য ঢাকা মিরপুর ১ নিউ মার্কেটে আসলে শাহীন ভিকটিমকে অনুসরণ করে। বিষয়টি ভিকটিম টের পেয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশায় ওঠে এবং মিরপুর ১ থেকে টেকনিক্যাল মোড়ে যাওয়া অবস্থায় শাহীন ভিকটিমকে ভুল বোঝায় এবং বিয়ে করবে বলে তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক রিকশাযোগে শাহআলী থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেয়। এর পর শাহীন ভিকটিমকে হোটেল কক্ষে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সম্পূর্ণ ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে।
উল্লেখ্য, ভিকটিম একটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের ছাত্রী। পরবর্তী সময়ে শাহীন ভিকটিমের বাবা-মায়ের নিকট ফোন করে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে ধারণকৃত ভিডিওটি অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার দেয়। এ অবস্থায় অসহায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে শাহআলী থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার কয়েকদিন পর ভিকটিমের পিতা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ৪ এর উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেন যে, তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি নিশ্চিত হয় র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৯ আগস্ট বিকাল সোয়া ৫টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ৪ এর আভিযানিক দল ক্রাইম প্রিভেনশন কম্পানি ১ এর কম্পানি কমান্ডার মেজর কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে শাহআলী থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে এজাহারনামীয় মামলার পলাতক আসামি শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।