ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, মহিলা পলিটেকনিকের শিক্ষক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ায় চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মামুন-অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিজ চেম্বারে ডেকে ও মোবাইল ফোনে ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন এ শিক্ষক। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দিতেও দ্বিধা করেননি তিনি। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) শিক্ষক মামুন-অর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মোকদ্দমা রুজু করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।  

সূত্র জানায়, ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং বিষয়ের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর 
মামুন-অর রশিদ। তিনি ষষ্ঠ পর্বের একজন ছাত্রীকে মোবাইলে মেসেজ ও চেম্বারে ডেকে নিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। ছাত্রীকে বারবার কাছে পেতে চান এই শিক্ষক। এ ধরনের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকিও দেন তিনি। 

এসব অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী ছাত্রীর গত ২২ জুলাই চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। যা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছে ভূক্তোভাগী ছাত্রী। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন শিক্ষক মামুন। সে প্রেক্ষিতে অভিযোগটি তদন্ত করেন চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র চৌধুরী। তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। প্রতিবেদনটি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষ। পরে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সূত্র আরও জানায়, ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে ফেল করানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিকের শিক্ষক মামুন-অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে শিক্ষকের বিরুদ্ধের বিভাগীয় মামলা রুজু করেছে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র চৌধুরী দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, প্রথমে আমি প্রথমে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ছাত্রীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর কথাবার্তা ও অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন শিক্ষক মামুন-অর রশিদ। পরে প্রতিবেদন অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। সে প্রেক্ষিতেই মামুন-অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029900074005127