যশোরের মনিরামপুরে ঝাপা বালিকা দাখিল মাদরাসায় রাতে কোচিং ক্লাস শেষে দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে সেই দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক শিক্ষকরা হলো মাদরাসার মৌলভি নজরুল ইসলাম এবং কৃষি শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতারের পর রাতে থানায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন সহকারী পুলিশ সুপার রাকিব হাসান।
আরও পড়ুন: ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুই শিক্ষক বরখাস্ত
এ সময় জানানো হয়, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে যশোর চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকা থেকে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা খানপুর গ্রামের মোনতাজ আলীর ছেলে তরিকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে খুলনার ডুমুরিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ঝাপা গ্রামের গাছিপাড়ার আবদুল মজিদের ছেলে নজরুলকে। বুধবার পুলিশ তাদের আদালতে সোপর্দ করে।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর ওই ছাত্রী ও তার অন্য সহপাঠীরা মাদরাসায় যায় কোচিং ক্লাস করতে। এ রাতে কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিল মৌলভি শিক্ষক নজরুল ইসলাম এবং কৃষি শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই ছাত্রীকে কক্ষে রেখে অন্যদের ছুটি দেয়া হয়। পরে শিক্ষক তরিকুল ও নজরুল মাদরাসার একটি কক্ষে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ওই ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মৃত্যু হয়েছে ভেবে শিক্ষকরা তাকে মাদরাসার বাইরে টয়লেটের পাশে ফেলে রেখে যায়। গভীর রাতে অচেতন অবস্থায় সেখান থেকে তাকে তার মা-বাবা উদ্ধারের পর লোকলজ্জার ভয়ে গোপনে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ৩ অক্টোবর মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।