ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ বাড়ির অদূরে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) খবর পেয়ে গফরগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন ও আহসান হাবিব ঘটনাস্থলে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের পাড়া ভরট গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যশরা ইউনিয়নের পাড়া ভরট গ্রামের এক দরিদ্র বাবার এক ছেলে-তিন মেয়ে। তাদের মধ্যে ছেলে গত দুই মাস পূর্বে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে (১৯) স্থানীয় আঠারোদানা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে আর কোনো কলেজে ভর্তি হয়নি।
গত সোমবার রাত ৯টার দিকে সে ও তার আরেক বোন খাওয়া-দাওয়া শেষে আলাদা ঘরে ঘুমাতে যায়। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে পাড়া ভরট জামে মসজিদের পাশে চান্দে মড়লের ভিটায় একটি নিচু গাছে বড় মেয়ের মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন বাড়িতে খবর দেন। এ সময় ধর্ষিতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাশেই পড়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
নিহতের বাবা আবদুল মতিন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মানুষের নজর অন্যদিকে নিতে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার নাটক সাজিয়েছে নরপশুরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েল মেয়েটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে বলেন, দরিদ্র পরিবারের মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তিনি।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার বলেন, খবর পেয়ে দু’জন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।