নওগাঁর মহাদেবপুরে এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের সময় ৩ জনকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আটককৃত ৩ জনকে সে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী মহাদেবপুর উপজেলার খোশালবাড়ী দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
আটককৃতরা হল, মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের হর্সী (উজানীপাড়) গ্রামের আঃ সামাদ এর ছেলে হাসু আলী মন্ডল (২৮), খোদাবক্স মন্ডল এর ছেলে মনোয়ার হোসেন (২৪) ও হারুন-অর রশিদ এর ছেলে সম্রাট হোসেন (২৬)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম জুয়েল দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, বুধবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুর উপজেলার পিড়ামোড় নামক স্থানে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত ফাকা ধান চাতালে এক কিশোরীকে নিয়ে অজ্ঞাত ৩ জন যুবক ঢুকেছেন এমন তথ্য স্থানীয়রা নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। সাথে সাথে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই জিয়াউর রহমান জিয়া, কনেস্টবল লিটন মোল্লা, রাজু আহম্মেদসহ টহল পুলিশ টিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রীকে (১৪) উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩ যুবককে আটক করেন।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর চাচা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে আটককৃত ধর্ষকসহ ৩ জনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রীকে মেডিকাল পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৩ আসামী ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে এসে ঘোরাফেরা শেষে রাত গভীর হলে এ ধানের চাতালে আনেন। এ সময় হাসু আলী মন্ডল তাকে ধর্ষণ করে ও অপর দুজন পাহারা দিয়ে ধর্ষককে সহযোগীতা করেন।
স্থানীয়দের মতে, সময় মত পুলিশ পৌছানোর কারণেই কিশোরী ছাত্রীটি গণধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।