চুল না ছাঁটায় মাদরাসাছাত্রের মাথা ন্যাড়া করে দিলেন সাদ্দাম হোসেন নামে এক মাদরাসা শিক্ষক। এর প্রতিবাদ করায় উল্টো আরও বেত্রাঘাত করা হয় ওই ছাত্রকে। এমনকি মাদরাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয় ছাত্রকে। বিচারের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে কোনো সমাধান না হওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামজুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় মুক্তাগাছার দাওগাঁও বাদে পাবইজান নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসায়।
টাঙ্গাইলের মধুপুরের পিরুজপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম নয়ন দুই বছর আগে মুক্তাগাছার দাওগাঁও বাদে পাবইজান নূরানী মাদরাসায় নাজেরা বিভাগে ভর্তি হয়। এ বছর সে হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করে। লজিং থাকে একই এলাকার আশরাফ আলীর বাড়িতে। মাদরাসার সব নিয়ম-কানুন মেনেই সে লেখাপড়া করে আসছিল। গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রকে চুল কাটতে নির্দেশ দেন মাদরাসার সহকারী শিক্ষক হাফেজ সাদ্দাম হোসেন। ছাত্রের কাছে কোনো টাকা না থাকায় সে ওই সময় চুল কাটতে পারেনি। সন্ধ্যার পর চুল না কাটার অপরাধে ওই ছাত্রের মাথার চুল ব্লেড দিয়ে ন্যাড়া করে দেন শিক্ষক।
নির্যাতিত মাদরাসা শিক্ষার্থী রেজাউল ইসলাম নয়ন বলে, চুল ছাঁটার নির্দেশের একটু পরেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। এ ছাড়া চুল ছাঁটার টাকা ছিল না তার কাছে। চুল না কাটার অপরাধে শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন তার মাথার চুল ব্লেড দিয়ে ন্যাড়া করে দেয়। এর প্রতিবাদ করায় তার ওপর বিনা কারণে বেত্রাঘাত করা হয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ সাদ্দাম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সঠিক সময়ে চুল না কাটায় তার মাথার এক অংশ ন্যাড়া করে দেয়া হয়। এ ছাড়া পড়া না পাওয়ায় তার ওপর বেত্রাঘাত করা হয়।
মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ আব্দুল বারী বলেন, ঘটনা জানার পর মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। দোষীসাব্যস্ত হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
থানার ওসি আলী মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি এলাকাবাসীর কাছ থেকে তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।