ছাত্রের সাথে শিক্ষকের আপত্তিকর ভিডিও, এলাকায় তোলপাড়

মাদারীপুর প্রতিনিধি |

মাদারীপুরের কালকিনিতে এনায়েত হোসেন নামের এক শিক্ষকের আপত্তিকর ঘটনার ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আর তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউএনওর কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত এনায়েত হোসেন কালকিনি সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভিডিওতে দেখা গেছে শিক্ষক এনায়েত হোসেন কয়েকজন বালক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে একটি রুমে নিয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে নগ্ন হয়ে সমকামিতায় লিপ্ত হয়েছেন। আর এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। বিষয়টি বিভিন্ন প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এ নিয়ে পুরো উপজেলায় সমালচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই শিক্ষক এনায়েত হোসেন স্কুলে না গিয়ে এলাকায় গাঁ ঢাকা দিয়েছে। এছাড়া বিগত দিনেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে একের পর এক বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। এমনকি তার এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রভাবে নষ্ট হচ্ছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বালক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের স্যার এনায়েত হোসেন স্কুলের ফাঁকা রুমে নিয়ে আমাদের একা পেয়ে কোলে বসিয়ে আপত্তিকর আচরণ করেছেন। আমরা লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না। বিষয়টি স্থানীয় মাতুব্বরা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তার অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় তায়েব সরদার বলেন, শিক্ষক এনায়েত হোসেন বিভিন্ন ছাত্রদের সঙ্গে একের পর এক কুকর্ম করে আসছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তার কোন বিচার হচ্ছে না। এবার তার কুকর্ম ফাঁস হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী তার বিচার চাই। এ বিষয় শিক্ষক এনায়েত হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে শিক্ষার্থীরা আজ বুধবার সকালে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ চেয়েছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004863977432251