ছয় হাজারের বেশি সাধারণ স্কুূল ও কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছে। গত ৫ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন করে। ১৯ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সংখ্যা ছিলো পাঁচ হাজার সাতশটি। ২০ আগস্ট বিকেলে ছয় হাজার ২১০টি হয়েছে । রাতে আরও কিছু আবেদন জমা পড়তে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রমিক সাজাবে সফটওয়্যার। ৮ সেপ্টেমম্বরের পর তালিকা যাচাই-বাছাই শুরু হবে। বাছাইকৃত তালিকা শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হবে। কত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে তা আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে মন্ত্রী-এমপিদের ডিও লেটারের স্তুপ জমা পড়েছে মন্ত্রণালয়ে।
এদিকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ননএমপিও শিক্ষকরা। তারা প্রতিদিন জানতে চান কবে নাগাদ এমপিওভুক্তি হবে ও এমপিওর টাকা হাতে পাবেন।
জানা যায়, গত ২০ জুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজের জন্য একটি বাছাই কমিটি এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আরেকটি কারিগরি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদের নেতৃত্বে নয় সদস্যের ‘প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক), যুগ্ম সচিব (আইন), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক), পরিচালক (কলেজ), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (কলেজ), জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (বাজেট) এবং সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন যুগ্ম সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-৩)।
এই কমিটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। প্রতিষ্ঠানের আবেদনের তথ্যে কোনো অনিয়ম বা অসামঞ্জস্য থাকলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়েও এই কমিটি সুপারিশ করবে।
অন্যদিকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণের জন্য (ব্যানবেইস) মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহর নেতৃত্বে গঠন করা হয় আট সদস্যের কারিগরি কমিটি। এই কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট, প্রোগ্রামারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এই কমিটি নীতিমালা অনুযায়ী শর্ত পূরণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে। আবেদনগুলোর ডেটা প্রসেসিং কার্যক্রমও তদারক করে এই কমিটি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরে গ্রেডেশন তালিকা ‘প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটির’ কাছে উপস্থাপন করছে এই কমিটি।