জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বিবিএ ও স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা লিখিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি ও মানবণ্টন সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারের পরীক্ষা তিনটি ইউনিটের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিট-১ এ বিজ্ঞান শাখায় পদার্থ ও রসায়নসহ জীববিজ্ঞান অথবা গণিত বিষয়ে উত্তর লিখতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে ৪ নম্বরের মোট ৬ টি প্রশ্ন থাকবে এবং প্রতিটির উত্তর লিখতে হবে। এভাবে ৭২ নম্বরের প্রশ্ন করা হবে।
এবারের প্রশ্ন সম্পূর্ণ উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্য বইয়ের সিলেবাস থেকে তৈরি করা হবে। ইউনিট-২ এ মানবিক বিভাগে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে মোট ৪ নম্বরের ৬ টি প্রশ্ন এবং বাংলাদেশ ও সমসাময়িক বিশ্বের শিল্পসাহিত্য অথবা আর্থসামাজিক বিষয়ে বাংলা অথবা ইংরেজিতে সীমিত সংখ্যক বাক্য লিখতে হবে।
ইউনিট-৩ বাণিজ্য শাখায় হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ এবং গাণিতিক বুদ্ধিমত্তায় ৬ টি করে মোট ২৪ নম্বরের প্রশ্ন এবং ভাষা জ্ঞান বিষয়ে সময়সাময়িক ব্যবসা ও অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে সীমিত সংখ্যক বাক্য লিখতে হবে। তবে সংগীত,চারুকলা, নাট্যকলা, এবং ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগে সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। শুধু বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক নেয়া হবে এবং পরীক্ষার ধরণ বিভাগই ঠিক করবে।
রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে আরো জানা যায়, এবার লিখিত পরীক্ষা ১ ঘন্টার পরিবর্তে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৭২ নম্বরের। এছাড়া বাকি ২৮ নম্বরের মধ্যে এসএসসির জিপিএ তে ১২ নম্বর এবং এইচএসসির জিপিএ তে ১৬ নম্বর থাকবে। এবার ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষ প্রয়োজনে এর আশে পাশের কয়েকটি ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্বাবধায়নে নেয়া হবে।
ভর্তি পরীক্ষার সামগ্রিক বিষয়টি জানতে চাইলে জবি উপাচার্য ড.মীজানুর রহমান বলেন,এবার আমাদের ভর্তি পরীক্ষার সামগ্রিক বিষয়টি ঢেলে সাজানো হয়েছে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের বিষয়টিও খতিয়ে দেখার জন্য একটি খাতা একাধিক পরীক্ষক দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে। যাতে কেউ দুর্নীতির সুযোগ না পায়।