বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সেসনজটের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৯৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। সত্যি বলতে কী, সেসনজট নিরসনে এই বিশ্ববিদ্যালয় সফল হলেও ভেতরে অনিয়মের কমতি নেই। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, ২৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে নিয়োজিত শিক্ষকগণই স্নাতক থেকে মাস্টার্স শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন। অথচ একদিনের জন্য হলেও তাদের জন্য প্রশিক্ষণ বা কর্মশালার কোনো ব্যবস্থা নেই। সুতরাং আলোচ্য সমস্যা সমাধানকল্পে কিছু সুপারিশ: ১. পরিচয়/ যোগাযোগ নয়, জ্যেষ্ঠতা/অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রধান পরিক্ষক ও পরীক্ষক নিয়োগ দান। ২. প্রধান পরীক্ষক/পরীক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ/ কর্মশালার ব্যবস্থাকরণ। ৩. উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও অন্যান্য কাজে জড়িত শিক্ষকদের পারিশ্রমিক পরিশোধে ধীরগতি প্রত্যাহার এবং ৪. দাপ্তরিক কাজে সেবার মানোন্নয়ন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আনসার আলী ও মো. হুমায়ুন কবীর : সহকারী অধ্যাপক, আমিনা মনসুর ডিগ্রি কলেজ, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ।