জাতীয়করণের দাবিতে সভা-সমাবেশ এমনকি টানা ১৮ দিন রাজপথে অনশন করেও অধিকার আদায় হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসও বাস্তবায়ন হয়নি। তাই তৃতীয় ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার(১০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ ঘোষণা দেন। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয়করণ বঞ্চিত বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব আ স ম জাফর ইকবাল।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশে আর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়বে না। এমনকি যেসব বিদ্যালয় ২০১২ সালের ২৭ মের আগে স্থাপিত হয়েছে সেগুলোও জাতীয়করণের আওতাভুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে প্রথম ধাপে ২২ হাজার ৯৯৫টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার ২৫২টি স্কুল জাতীয়করণ হয়। তৃতীয় ধাপে আরও বেশ কিছু বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য বাছাই করা হলেও সেখানে প্রায় ৪ হাজার ১৩৯টি জাতীয়করণের যোগ্যতাসম্পন্ন স্কুল তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুর রব রতন, বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বাংলাদেশের সভাপতি শাহাজাহান আলী সুজন, মহাসচিব সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ নব-জাতীয়করণকৃত ও বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন, মহাসচিব মো. মেহেদী হাসান প্রমুখ।