জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে আগামী ১৪ই মার্চ জাতীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১১ই মার্চ থেকে সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবিরাম ধর্মঘট শুরু হবে চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। ১২ মার্চ সব জেলায় শিক্ষক-কর্মচারিরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবেন। ১৪ মার্চের শিক্ষক সমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতারা সারাদেশে গণসংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রেখেছেন।
শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হক বৃহস্পতিবার ( ১লা মার্চ) দুপুরে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, জাতীয়করণের দাবিতে ১৪ই মার্চের শিক্ষক মহাসমাবেশ সফল করতে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে আমাদের দাবির বিষয়ে মতবিনিময় অব্যাহত রেখেছি। আজ বৃহস্পতিবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তার কাছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকী,মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দীক, প্রফেসর ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার,মো. আজিজুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ মো: ফয়েজ হোসেন, মো: আবুল কাশেম, মো: মহসিন রেজা, বিলকিস জামান,মো: শহীদ মোল্লাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
শিক্ষক মহাসমাবেশকে সফল করতে গত ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলা ও জেলায় কমিটির নেতারা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ৮ মার্চ পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতারা মতবিনিময় করেন।
এর আগে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি টানা তিন দিনের ক্লাস বর্জন কর্মসূচির পাশাপাশি শিক্ষক নেতারা দাবি আদায়ের পক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবেৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
অধ্যক্ষ আসাদুল হক বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার আমাদের ১১ দফা দাবির যৌক্তিকতা উপলদ্ধি করে শিক্ষক সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেবে। আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি পূরণে পদক্ষেপ নেবে সরকার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।