জাতীয়করণ সংক্রান্ত বিভিন্ন রকমের ভুয়া চিঠি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। এসব ভুয়া চিঠি দেখে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছেন জাতীয়করণে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। জাতীয়করণের মত স্পর্শকাতর বিষয়ে এ ধরণের ভুয়া চিঠির মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র।
ময়মনসিংহের ফুলপুর ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন শিক্ষক গতকাল বুধবার শিক্ষা অধিদপ্তরে এসেছেন চিঠির সত্যতা যাচাই করতে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের জাল স্বাক্ষরের ওই চিঠি সম্পর্কে সাফ জানিয়ে দেয়া হয় যে, জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত কলেজের অর্থ ব্যয়ের এমন কোনও চিঠি অধিদপ্তর থেকে দেয়া হয়নি। এসব ভুয়া চিঠির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহপরিচালক মো: মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘জাতীয়করণের লক্ষে প্রক্রিয়াধীন কলেজগুলোতে অর্থ ব্যয়ের উপর নির্দেশনা প্রদান প্রসঙ্গে’ শিরোনামে কোন পত্র জারি করা হয়নি। এ ধরণের ভুয়া চিঠি ব্যবহার করে টাকা লেনদেন না করার জন্য জাতীয়করণের লক্ষ্যে প্রক্রিয়াধীন কলেজগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতারক চক্র থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সাতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারহানা আক্তারের স্বাক্ষর জাল করে ‘জাতীয়করণের লক্ষে প্রক্রিয়াধীন কলেজগুলোতে অর্থ ব্যয়ের উপর নির্দেশনা প্রদান প্রসঙ্গে’ বিষয় উল্লেখ করে একটি চিঠি গত ২০ জুন সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে জানানো হয়, জাতীয়করণের লক্ষ্যে প্রক্রিয়াধীন কলেজগুলোতে নিয়োগ, সম্পত্তি হস্তান্তর এবং প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন ব্যয় ব্যতীত নগদ ও অর্থ ব্যয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
জাতীয়করণ প্রক্রিয়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদানের সুযোগ নেই। তবে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্দিষ্ট খাতের প্রাপ্ত আয়ের সংকুলান করে তাদের মূল বেতন পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে।