জাল সনদে চাকরি করার অভিাযোগে কাশিয়ানী উপজেলার আইডিয়াল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০১৮ সালে অধ্যক্ষ আমিনুল হক তার আবেদনপত্রের সঙ্গে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল আইডিয়াল কলেজে প্রভাষক পদে ২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন উল্লেখ করে অভিজ্ঞতার সনদ দাখিল করেন। তার দাখিল করা সনদ ভুয়া ও জাল বলে অভিযোগ ওঠে। রাতইল আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জুলফিকার আলী বলেন, মো. আমিনুল হক রাতইল কলেজে কোনোদিন শিক্ষকতা করেননি।
কলেজের সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত আলী বলেন, নানা অভিযোগসহ আমিনুল হকের অভিজ্ঞতার সনদ জাল বলে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে আমিনুল হক তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উল্রেখ্য, প্রবীন শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক এমন একটি ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে তা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু তিনি তার বরখাস্তকে রাজনৈতিক বলে প্রচার করেন। ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ৭০ হাজার টাকায় পর্দা কেনাসহ বিভিন্ন অভিযোগ দুদকের তদন্ত চলমান।
কাজী ফারুককে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটিরও সদস্য করা হয়েছিল। এছাড়া তার একটি এনজিও রয়েছে।