জাল সনদে নিয়োগের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এমপিও স্থগিত হয়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দুই সহকারী শিক্ষকের। ঘাগড়া দক্ষিণপাড়া এফ রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই দুই শিক্ষক জাল বিএড ও শিক্ষক নিবন্ধন সনদ তৈরি করে এমপিওভুক্ত হন। এরা হলেন, মো. জুলফিকার আলী ও ফাতেমা খাতুন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরকে এ দুই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, জাল সনদে স্কুলটির বাংলার সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী ও সামাজিক বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন এমপিও ভোগ করছেন বলে অভিযোগ আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
মো. জুলফিকার আলী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে বিএড অর্জন ও ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ লাভ করেছেন বলে দাবি করেন। ফাতেমা খাতুন ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে বিএড ও ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু এনটিআরসিএ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ যাচাই প্রতিবেদনে এর সত্যতা মেলেনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ অক্টোবর জারি করা সনদ যাচাইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলার সহকারী শিক্ষক মো. জুলফিকার আলী ও সামাজিক বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের বিএড সনদ সঠিক নয়। সনদ দুটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়নি। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর এনটিআরসিএর সনদ যাচাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দুই শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ সঠিক নয়। তাদের সনদে উল্লেখিত রোল নম্বরের পরীক্ষার্থী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ফেল করেছেন।