বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাল নিবন্ধন সনদ নিয়ে কর্মরত আছেন শিক্ষক মো. কবির হোসেন। জাল সনদ নিয়ে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এ পর্যন্ত ৮ বছরের বেশি সময় বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে এমপিওভোগ করেছেন তিনি। এসময়ে এমপিও বাবদ তুলেছেন সরকারি ১১ লাখ টাকা। পরিসংখ্যান ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে এবং এনটিআরসিএর সনদ যাচাইয়ে জাল সনদে চাকরির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তবে, এখনো এমপিও ভোগ করছেন জাল সনদধারী এই শিক্ষক। তুলেছেন গত জুন মাসের এমপিওর টাকাও। দৈনিক শিক্ষাডটকমের অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন জাল সনদধারী মো. কবীর হোসেন। এনটিআরসিএর ডাটাবেজে তার সনদের কোন অস্তিত্ব নেই। যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দাখিল করে তিনি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্ত হয়েছেন, সে সনদের রোল নম্বরটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি ডাটাবেজে।
গত নভেম্বর মাসে জালসনদ নিয়ে মো. কবির হোসেনের চাকরির বিষয়টি প্রথম দফা প্রমাণিত হয়। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি এমপিও বাবদ ১০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা নিয়েছেন। এখনও এমপিও ভোগ করছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির এমপিও শিট অনুযায়ী, সম্প্রতি জুন মাসের এমপিও বাবদ জাল সনদধারী এ শিক্ষক তুলেছেন ১৭ হাজার টাকা।
জানা গেছে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে নাজিরপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়। তখনই জাল সনদধারী শিক্ষক এমপিও ভোগ করছেন বলে সন্দেহ করেন পরিদর্শন কর্মকর্তা। সে প্রেক্ষিতে এনটিআরসিএকে চিঠি দিয়ে মো. কবির হোসেনের সনদটি যাচাই করতে বলা হয়। গত ২৫ নভেম্বর সনদ যাচাইয়ের প্রতিবেদন দেয় এনটিআরসিএ। এতে বলা হয়, মো. কবির হোসেন যে রোল নম্বরের সনদ নিয়ে চাকরি করছেন তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলাফলের তালিকায় সে রোল নম্বরটি নেই।
গত ১৪ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, জাল ও ভুয়া সনদ নিয়ে শিক্ষকতা করায় মো. কবির হোসেনের নিয়োগ বিধিসম্মত হয়নি। তিনি কোনো সরকারি বেতন-ভাতা পাবেন না। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি সরকারি ১০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা এমপিও বাবদ তুলেছেন। যা ফেরত নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আর এরপরও তিনি কোন বেতন ভাতা নিলে তাও ফেরত নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।