জালিয়াতি করে দুই কলেজের উপবৃত্তি বৃদ্ধির চেষ্টা

যশোর প্রতিনিধি |

যশোরের চৌগাছায় দুটি কলেজে জালিয়াতি করে উচ্চমাধ্যমিকে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীল সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই কলেজ দুটি হচ্ছে তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজ ও পাশাপোল আমজামতলা কলেজ। কলেজ দুটিতে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী উপবৃত্তি দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন স্থানীয় শিক্ষক। 

তবে এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়ার পর তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম ভুল করে শিক্ষার্থী সংখ্যা দেখানো হয়েছে দাবি করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন। তবে, পাশাপোল আমজামতলা কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম কোনো তথ্য বা আবেদন দেননি।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজ ও পাশাপোল আমজামতলা কলেজে ভুল তথ্য দিয়ে উপবৃত্তির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজে ওই শিক্ষাবর্ষে কারিগরি ও সাধারণ শাখায় প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সেই হিসেবে তারা ৭০ থেকে ৭৫ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু  ৩০০ জন  অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর নাম দিয়ে তারা ১০৪ জনকে উপবৃত্তি দেয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করেছেন।

অপরদিকে পাশাপোল আমজামলতলা কলেজে কারিগরি ও সাধারণ শাখায় ২০০ থেকে ২৫০ শিক্ষার্থী রয়েছে। সেই হিসেবে তারা ৫৫ থেকে ৬৫ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি পাবেন। কিন্তু অতিরিক্ত ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর নাম দিয়ে তারা ১০৫ জনকে উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত করেছেন।

তবে, এ বিষয়ে চাইলে তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপবৃত্তির তালিকা করার সময়  ভুল করে তার কলেজে বেশি শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছিল। তার অফিস থেকে না বুঝে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের এখনো বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি। তাবে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের শতকরা হারে যে কয়েকজন উপবৃত্তি পাবে তাদের বাইরে কারো বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হবে না।

পাশাপোল আমজামতলা কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তার কলেজে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিকে কারিগরি ও সাধারণ শাখায় ৩৭১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তারমধ্যে ২০০ জন মেয়ে রয়েছে। শতকরা ৪০ জন মেয়ে উপবৃত্তি পায়। সেই হিসেবে তার কলেজে ৯০ জনের কাছাকাছি উপবৃত্তি পাবে। কিন্তু কতজন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছেন সেটা তার জানা নেই।

চৌগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম রফিকুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপবৃত্তির সংখ্যা বাড়াতে তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজ ও পাশাপোল আমজামতলা কলেজ জালিয়াতি করে ভুল তথ্য দিয়েছে। তবে, তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজ লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করেছে। আর পাশাপোল আমজামতলা  কলেজের অধ্যক্ষ কোন তথ্য দিচ্ছেন না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030150413513184