পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি সংস্কার করা হচ্ছে। পুরোনো পদ্ধতির জিপিএ-৫ এর পরিবর্তে নির্ধারণ করা হয়েছে জিপিএ-৪। এ মাসেই নতুন গ্রেডিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে প্রজ্ঞাপন জারির কথা রয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
চূড়ান্ত গ্রেডবিন্যাসে দেখা যায়, ৯০ থেকে ১০০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের লেটার গ্রেড ‘এ প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট হবে ৪, যা সর্বোচ্চ ফল। এরপর ৮০ থেকে ৮৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘এ’ ও গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫, ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘বি প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট ৩, ৬০ থেকে ৬৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘বি’ ও গ্রেড পয়েন্ট ২.৫, ৫০ থেকে ৫৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘সি প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট ২, ৪০ থেকে ৪৯ প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘সি’ ও গ্রেড পয়েন্ট ১.৫, ৩৩ থেকে ৩৯ প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘ডি’ ও গ্রেড পয়েন্ট হবে ১ এবং শূন্য থেকে ৩২ প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘এফ’ ও গ্রেড পয়েন্ট হবে শূন্য।
গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রেড পরিবর্তন-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সেখানে শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন স্তরের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিপিএ-৪ প্রবর্তন নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী (ভিডিও)
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন গ্রেড পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। চলতি বছর (২০২০ শিক্ষাবর্ষ) থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হতে পারে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এসএসসি-সমমান ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৪ কার্যকর করা হতে পরে।
বর্তমানে দেশে পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫-এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফল প্রকাশ করা হয় সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে। আর বিশ্বের অন্যান্য দেশে সব ধরনের ফলাফলই প্রকাশ করা হয় জিপিএ ৪-এ। ফলে এসএসসি আর এইচএসসির ফলাফলের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষার ফলাফলের সমন্বয় করতে গিয়ে দেশের চাকরিদাতারাই সমস্যায় পড়েন।
আবার বিদেশে পড়ালেখা করতে গিয়েও সমস্যায় পড়েন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। তাই সব দিক বিবেচনা করে সব ধরনের ফলাফল জিপিএ ৪-এ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রেডিং চূড়ান্ত করলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায়ও একই গ্রেডিংয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতি চালু হয় ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘এ প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট ৫। এটাই সর্বোচ্চ গ্রেড।