অনলাইনে জুম মিটিংয়ে আপ্যায়ন ব্যয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সচিবদের ডেকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সুষ্ঠু ও গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সভা করেন তিনি।
এরপর এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে আমি বলেছি, করোনায় বাসায় বসে জুম মিটিং করলে কেন আপ্যায়ন ব্যয় করা লাগবে। প্রকল্পের আওতায় আপ্যায়ন ব্যয় আছে, তার মানেই এই নয় যে অযৌক্তিকভাবে ব্যয় করতে হবে। প্রকল্পের আওতায় অযৌক্তিক ব্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও উদ্বিগ্ন।’ বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অসন্তুষ্টির কথাও সচিবদের জানিয়েছেন সাবেক আমলা এম এ মান্নান।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) কর্মশালা ও কারিগরি কমিটির সভা করেও আপ্যায়ন বাবদ খরচ ৫৭ লাখ টাকা দেখিয়েছিল, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়।
প্রকল্পে গাড়ি কেনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মান্নান বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় প্রকল্পের জন্য গাড়ি কেনার জন্য যা বরাদ্দ থাকে, তার অর্ধেক দিয়ে বড় কর্মকর্তা গাড়ি কেনেন, বাকিগুলো ঠিকমতো হয় না। এখন থেকে এসব হবে না। কোন গাড়ি কত সিসি’র, তা স্পষ্ট করে উল্লেখ থাকতে হবে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আমাদেরকে আশস্ত করেছেন, তারা টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব উল্লেখ করেছেন, কী কী শাস্তির বিধান আছে।’
সরকারের অর্থ যে জনগণের তা সচিবদের স্মরণ করে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো সময়েই আমরা জনগণের অর্থ নিয়ে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে নয়-ছয় করতে দেব না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল বা হিউম্যান ইরর হলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু বারবার একই ভুল গ্রহণযোগ্য নয়। বৈঠকে কথা হয়েছে যে অনেক কর্মকর্তার অনভিজ্ঞতার কারণে অনেক ভূলভ্রান্তিও হয়ে থাকে। তা কাটিয়ে উঠার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা একাডেমিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’
পরিকল্পনা কমিশনে যারা প্রকল্প তৈরি করেন, তাদেরকেও আগের তুলনায় অনেক বেশি সাবধান হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।