জেএসসি ও জেডিসির বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের নমুনা প্রশ্ন প্রকাশ করবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। চলতি বছর থেকে বাংলা ও ইংরেজির প্রতিটি ১০০ করে মোট দুইশ নম্বরের পরীক্ষা হবে। নম্বর কমানোর পর পরীক্ষা প্রশ্ন কেমন হবে তা যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানতে পারে সে লক্ষ্যেই নমুনা প্রশ্ন প্রকাশ করবে সরকার। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের জেএসসি ও জেডিসির জন্য এই নমুনা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র তৈরি করবে শিক্ষাবোর্ডগুলো। শুধু নমুনা প্রশ্নই না। মানবন্টন ও সিলেবাসও ২০২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চলবে। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
এনসিটিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৫ জুন) দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, “প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাস্টার ট্রেইনারগণ, বোর্ডের অভিজ্ঞ পরীক্ষক, প্রশ্নকর্তা ও প্রশ্ন মডারেটরগণ মঙ্গলবার নমুনা প্রশ্নপত্র চূড়ান্ত করেছেন। বিকেলে ওই প্রশ্নপত্র নিয়ে একজন সদস্য শিক্ষা সচিবের কাছে গেছেন।”
“আশাকরি বৃহস্পতিবারের মধ্যে নমুনা প্রশ্ন প্রকাশ করা যাবে,” যোগ করেন তিনি।
এদিকে জেএসসির বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের নতুন সিলেবাস চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন সিলেবাসে বাংলায় গদ্য-কবিতা, ব্যাকরণ ও সহপাঠ কমানো হয়েছে। ইংরেজিতে তিনটি ইউনিট কমানোসহ মোট ৩৩ শতাংশ কমানো হয়েছে।
জেএসসি পরীক্ষায় বাংলা-ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা ও নম্বর কমানের পর নতুন করে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। সেখানে মুস্তাফা মনোয়ারের লেখা শিল্পকলার নানা দিক গদ্য বাদ দেয়া হয়েছে। কবিতা থেকে সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘প্রার্থী’, বুদ্ধদেব বসুর ‘নদীর স্বপ্ন’ এবং সুফিয়া কামালের লেখা ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ বাদ দেয়া হয়েছে।
ব্যাকরণ থেকে বহুবচন গঠনের নিয়ম ও উদাহরণ, শ্রেণি বিভাজন, নির্দেশক, সর্বনামের দিক, শব্দ গঠনের প্রাথমিক ধারণা, অভিধান, ভক্তি, সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া, ক্রিয়ার কাল, নিসর্গকরণ, একই শব্দ বিভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করে ব্যাখ্যা ও বচনা, বাক্য রচনা, নির্মিত অর্থ, অনুচ্ছেদ, অনুধাবনসহ সহপাঠ বিষয়গুলো বাদ পড়েছে।
অন্যদিকে, ইংরেজি বিষয়ে ‘ইংলিশ ফর টুডে’ বইয়ের ইউনিট ৩, ৪ ও ৮ বাদ দেয়া হয়েছে। সেখানে গ্রামার এবং কমপোজিশন, ডিগ্রি অব কমপেনসেশন, জিরান্ড এবং পার্টিসিপল, মডালস, লিংকিং শব্দসমূহ, সামারি রাইটিং এ কমপ্লিটিং স্টোরি নতুন সিলেবাসে বাদ দেয়া হয়েছে।
তবে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটের (জেডিসি) নতুন সিলেবাস ও মানবণ্টন তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি বলে জানা গেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেবাস তৈরি করা হবে বলেও জানান একজন কর্মকর্তা।